বরিশাল সদর উপজেলাধীন ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানি গ্রামে নয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিগত ৭ জানুয়ারি ২০২৫দুপুর ১টার দিকে নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এড হক কমিটির সভাপতি পদে কাগজপত্র সহ ৩ সদস্যের প্যানেল জমা দিতে যান ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী বাস্তহারা দল সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম ও বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেখানে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক কাগজপত্র নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন কিছু সময় পরে পুন:রায় কাগজপত্র জমা নেন এবং এই সময়ের ভিতর একবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান আহমেদ খানের সাথে কথা বলেন তার কথাবার্তা এবং চলন বলনে ফুটে ওঠে তিনি আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে জুলাই মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ইসলামী আন্দোলনে যোগদান কৃত মো: নুরুল ইসলাম মৃধা ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম রাতুল মৃধা তার ক্যাডার বাহিনী স্কুলের কক্ষে ঢোকেন এবং বিএনপির লোকদের সাথে তর্কে জড়ান একপর্যায়ে বিএনপি’র দেওয়া প্যানেলের কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়ে ছিড়ে ফেলেন এরপর শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে অংশ নেন শফিকুল ইসলাম রাতুল মৃধা ইয়াকুব মৃধা খালেকসহ প্রায় এক শতাধিক ক্যাডার বাহিনী অতর্কিত হামলা করেন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি শাহ আলম এর উপর এবং বাস্তহারা দল জেলা কমিটির সভাপতি জসীমউদ্দীন মিলন মুন্সির উপর।
ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায় ২০২১ সালে ইসলামী আন্দোলনের যোগদান কৃত নুরুল ইসলাম মৃধা ও তার ছেলে শফিকুল ইসলাম রাতুল মৃধা ইয়াকুব আলী মৃধা ও তাদের ক্যাডারবাহিনী এখন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এডহক কমিটিতে রাতুল মৃধা স্ত্রী পূর্ণিমাকে এডহক কমিটির সভাপতি বানাবার জন্য এই তৎপরতা।
এ বিষয়ে ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার এর সাক্ষাৎকার নিলে তিনি বলেন।রাতুল মৃধা বাহিনী আমার উপরে হামলা করে তারা বিএনপির কেউ নয় মূলত তারা ইসলামী আন্দোলনের কর্মী আমরা রাজপথে দীর্ঘ ১৬ টি বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে টিকে আছি।এখন স্কুলের কমিটির সভাপতি পদে আমাদের লোক মনোনীত করব এটাই স্বাভাবিক এটা আমাদের অধিকার। এ বিষয়ে কথা হয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোঃ মাহমুদ হোসেন আশরাফ এর সাথে তিনি বলেন ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের উপর ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা হামলা করবে এটা আমরা প্রত্যাশা করিনি। কথা হয় প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক এর সাথে তিনি বলেন রাতুল মৃধা সকালে তার স্ত্রী পূর্ণিমা সহ ৩জনের কাগজপত্র নিয়ে এসেছিল আমি রাখিনি। তাকে প্রশ্ন করা হয় আপনি এখনো আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন কেন এ বিষয়ে তিনি বলেন বিগত সময় সুলতান আহমেদ খান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিল এই হিসাবে তার সাথে আমার সম্পর্ক রয়েছে এর বাহিরে কিছু নয়।
এ বিষয়ে কথা হয় জেলা বাস্তহারা দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন মিলন মুন্সির সাথে তিনি বলেন আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে বিএনপিতে টিকে আছি। আমার বাবা রাজ্জাক প্রফেসার তিনি ও বিএনপি করতেন এবং নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা কমিটিতে আমাদের বাদ দিয়ে অন্য কেউ হবে এটা প্রত্যাশাই করা যায় না। এবং যারা আমার উপর হামলা করেছে তারা সকলে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী।