আর মাত্র এক বছরের অপেক্ষা। আগামী বছর ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠবে ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের। প্রথমবারের মতো ৪৮ দেশের বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে তিন দেশের ১৬টি ভেন্যুতে। জোর প্রস্তুতি চলছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে।
বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞ ফিফা বিশ্বকাপ। রোমাঞ্চ আর উন্মাদনার ছড়াছড়ি বিশ্বকাপের জন্য চার বছর ধরে অপেক্ষায় থাকেন সমর্থকরা। ২০২২ সালে মরুর বুকে সফল আয়োজন দিয়ে পুরো দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। ঠিক এক বছর পর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে বসবে আরও একটি বিশ্ব আসর।
২০২৬ বিশ্বকাপের এক বছর আগে শুরু হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনা। প্রথমবারের মতো তিনদেশে হবে ফিফা বিশ্বকাপ। ২৩তম আসরে অংশ নেবে ৪৮টি দেশে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথম এত দেশের অংশগ্রহণে হবে বিশ্বকাপ ফুটবল। মূল আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে মেক্সিকো ও কানাডা। মেক্সিকো শহরের স্তাদে আজতেকায় হবে উদ্বোধনী ম্যাচ।
১৯ জুলাই ইস্ট রাদারফোর্ডের নিউ জার্সি ফাইনালের ভেন্যু। তিন আয়োজক দেশ তাদের গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে নিজেদের মাঠে। নিউ ইয়র্ক, ডালাস, কানসাস সিটি, লস অ্যাঞ্জেলেস, আটালান্টাসান ফ্রান্সিসকোর বে অ্যারেনা, হিউস্টন, ফিলাডেলফিয়াসহ তিন দেশের ১৬টি শহরে চলছে প্রস্ততি। ১৯৯৪ সালের পর আবারো যুক্তরাষ্ট্রে বসবে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল।
নতুন রূপে এই বিশ্বকাপ পুরো দুনিয়াকে চমকে দেবে বলে আশা ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনোর। আনুষ্ঠানিক ক্ষণগণনায় দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি। ফিফা সভাপতি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ হয়েছে। অভিজ্ঞতা আছে মেক্সিকোর। তবে, কানাডা এবারই প্রথম আয়োজক হচ্ছে। প্রতিটি স্টেডিয়াম, প্রতিটি ভেন্যু আমরা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আধুনিক স্টেডিয়াম, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার থাকবে ২০২৬ বিশ্বকাপে। আমাদের লক্ষ্য আমরা নতুন প্রজন্মের মাঝে ফুটবলের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে চাই। এবারের বিশ্বকাপে নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থার দিকে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছি।’