বরিশাল:-বরিশালের সদর উপজেলার ৩নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাসেল হালদার ওরফে রাসেল মেম্বার ও তার তিন সহযোগীকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র ও ৩৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- ওই এলাকার মোঃ তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে মোঃ রাসেল হাওলাদার ওরফে রাসেল মেম্বার (৩৮), রুবেল সরদারের ছেলে মোঃ রাব্বি সরদার (২৪), বেল্লাল ফকিরের ছেলে মোঃ মামুন ফকির (২৫) ও লাল মিয়া বেপারীর ছেলে শাওন বেপারী (২৫)।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৭ টার দিকে চরবাড়িয়া গাজীর খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি বিল থেকে তাকে আটক করা হয়।
এদিকে বিকেল ৪ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) সুশান্ত সরকার।
তিনি জানান,রাসেলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও একাধিক মামলার অভিযোগ রয়েছে, যা খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকালে তার বাড়ির আশপাশে ডিবি পুলিশ অবস্থান নেয়। উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে ইন্সপেক্টর সগীরের নেতৃত্বে থাকা দল তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে। তবে তার সহযোগী ‘ল্যাপটপ বাবু’সহ কয়েকজন এখনো পলাতক। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তথ্য অনুযায়ী,প্রায় দেড় যুগ ধরে রাসেল মাদক ব্যবসায় জড়িত। আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী স্থানীয় নেতার ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রভাব আরও বেড়ে যায় এবং প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি শুরু করে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থ সহায়তার বিনিময়ে সে স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠে।
পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বরিশালে যোগদানের পর এই মেম্বার রাসেল ও কাশিপুরের টহঠা এলাকার আরেক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাসেলের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেন। রমজান মাসে কাশিপুরের রাসেলকে গ্রেফতারের পর চরবাড়িয়ার রাসেলকেও আটক করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান,আটক রাসেলের কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্র ছাড়াও তার কাছে অবৈধ রিভলভার থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান চলছে। তিনি আরও বলেন, সমাজের অসংগতি ও মাদক ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচনে গণমাধ্যম এগিয়ে আসুক, পুলিশ শতভাগ সহযোগিতা করবে।