বরিশালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী আরিফুর রহমান সুমন মোল্লাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মেয়র সাদিকের অনুসারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাতে (০৪ এপ্রিল) ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩৫ জনকে অজ্ঞাত করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন সুমনের মা সেতারা বেগম।
আসামিরা হলেন- ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইদুর রহমান জাকির, তার ভাই মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম জাহিদুর রহমান মনির, ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মামুন মোল্লা, ২৫নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিুকর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মীর শহিদুল ইসলাম রনি, মঈন সিকদার, ওয়াদুদুর রহমান সোহেল মোল্লা, আজম, বাসার, সুরুজ, পান্না মৃধা, ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাফিন মাহমুদ তারিক, শফিকুল ইসলাম ওয়ারেছ ও জাহিদসহ হত্যা চেষ্টায় আরও ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাত আসামি অংশ নেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী সেতারা বেগম জানিয়েছেন, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড দখলে নিতে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্দেশে তার সন্ত্রাসীরা সোমবার ইফতারির কিছুক্ষণ আগে আমাদের ঘরেসহ মোট তিনটি ঘরে হামলা চালায়। এসময় আমার ছেলে সুমন মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশে কোপায়।
তাকে বাঁচাতে আল আমিন গেলে তাকেও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। সুমনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুমনের স্ত্রী আহিরন বলেন, মেয়র সাদিকের নির্দেশে সুমনের ওপর হামলা করা হয়েছে এ ঘটনায় ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মাসুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার পরপরই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ঘটনাস্থল, বাসস্ট্যান্ডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক সমর্থক বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি সুলতান মাহমুদের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। মেয়র সমর্থক শ্রমিক ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছেন অপর কমিটির সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস।
হামলা পাল্টা হামলায় ৬ জন আহত হয়। এছাড়া শনিবার দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। সর্বশেষ সোমবার সুমন মোল্লা ও তার সহযোগীকে কুপিয়ে জখম করে মেয়র অনুসারীরা। দীর্ঘদিন যাবৎ রুপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল দখল নিয়ে মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী সমর্থক শ্রমিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।