বরিশাল:বরিশালের মুলাদীতে শিক্ষক স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার শিক্ষিকা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বামী শফিকুল ইসলাম মহিনের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শিক্ষিকা জুবাইদাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বুধবার বিকালে উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের বজায়শুলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জুবাইদা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শফিকুল ইসলাম মহিন বজায়শুলি গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোশারফ হোসেনের ছেলে এবং কাজিরচর (খাসেরহাট) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রী জুবাইদা হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের মৃত মাওলানা আবুল হোসেন তালুকদারের মেয়ে এবং মুলাদী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ বজায়শুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের বিয়ে হয়।
স্কুল শিক্ষিকা জুবাইদা জানান, ২০১৮ সালে বদলি হয়ে মুলাদীর বজায়শুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন এবং বাধা দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায়ই মারধর করত। ইতোপূর্বে দুইবার শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাও করেছিল শফিকুল। বুধবার বিকালে শফিকুল বাড়ি ফিরলে তার ক্লান্তির বিষয়ে জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল তার বাবা-মায়ের সামনেই মারধর শুরু করেন।
একপর্যায়ে জুবাইদা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে টেনেহিঁচড়ে ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ করে দেন শফিকুল। ওই সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। বুধবার রাতে জুবাইদাকে মোবাইল ফোনে না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে তার ভাই ও বোন শফিকুলের বাড়িতে আসেন। তারা জুবাইদাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করেন।
এতে শফিকুল ও তার আত্মীয়স্বজনরা বাধা দিলে জুবাইদাকে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম মহিন জানান, আমাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে জুবাইদা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া জুবাইদার স্বজনরা আমাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করতে তাকে দিয়ে মামলা করার চেষ্টা করছেন।