২০২০ থেকে ২০২১— এক বছরে সামান্য বেড়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আয়। ২০২০ সালে তার উপার্জন ছিল ৯৯ লাখ ৯৪ হাজার রুবল, আর তার পরের বছর ২০২১ সালে তিনি উপার্জন করেছেন ১ কোটি ২ লাখ ২ হাজার রুবল।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের ওয়েবাসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।
আর্থিক আয় সামান্য বাড়লেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বাড়েনি পুতিনের। ক্রেমলিনের তথ্য অনুযায়ী, দু’টি অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের, দু’টিরই আয়তন ১৫৩ দশমিক ৭৭ বর্গমিটার করে এবং একটি গ্যারেজ আছে তার, যেটির আয়তন ১৮ বর্গমিটার।
এছাড়া রুশ কোম্পানির তৈরি দু’টি গাড়ি ও পণ্য পরিবহনের জন্য একটি কার ট্রেইলারের মালিক পুতিন। এই গাড়ি দুটি হলো গ্যাজ-এম২১ ও নিভা। দু’টি গাড়িই সাবেকী আমলের। বর্তমানে রাশিয়ায় এ ধরনের গাড়ি ব্যবহার করা হয় বেশ কম।
রাশিয়ার বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বহু বছর ধরে অপরিবর্তিত আছে পুতিনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ।
সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিনের উপার্জন পুতিনের চেয়ে বেশি। ২০২১ সালে ১ কোটি ৮০ লাখ ৩০ হাজার রুবল উপার্জন করেছেন মিশুস্তিন।
পুতিনের সর্বোচ্চ উপার্জন হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই বছর ১ কোটি ৮০ লাখ রুবল উপার্জন করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে ২০১৭ সালে তার উপার্জন বৃদ্ধির বড় কারণ ছিল— ওই বছর নিজের মালিকানাধীন একমাত্র প্লটটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। প্লটটির আয়তন ছিল ১ হাজার ৫০০ বর্গমিটার।
১৯৫২ সালে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বর্পূর্ণ শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্ম নেওয়া পুতিনের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সে বছর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির এজেন্ট হিসেবে যোগ দেন তিনি।
গোয়েন্দা এজেন্ট হিসেবে পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পেশাগত দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন পুতিন। তারপর ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।