এবারে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপে নির্মাণাধীন ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রথম দফার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ভোগান্তি কমাতে সরকারের কী পদক্ষেপ রয়েছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এ করিডোরে অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানে যানজট হয়। আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, আবার জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল- এই করিডোরেও যানজটের অভিজ্ঞতা আছে। বিআরটি করিডোরে মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে আমরা রাস্তাটা চলাচলযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কাজ সম্পন্ন করেছি। আমরা সেখানে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যৌথভাবে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা দেখেছি কী কী সমস্যা আছে।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিকদের কিছু সুপারিশ ছিল, আমরা সেগুলো বিবেচনায় নিয়েছি।
সড়ক সচিব বলেন, আগামীকাল সোমবার (২৫ এপ্রিল) আব্দুল্লাহপুর থেকে এলেঙ্গা পথের তিনটি উড়াল সড়ক চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দিলে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।
সিরাজগঞ্জের নলকায় আরেকটি সেতু আগামীকাল (২৫ এপ্রিল) খুলে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, যেসব স্থান সমস্যাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল, যানজটপ্রবণ ছিল, সেগুলো আমাদের পক্ষ থেকে অ্যাড্রেস করেছি। কাজগুলো আরও পরে শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু ঈদের কথা বিবেচনা করে আগেই শেষ করেছি।
এবার কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি থাকবে। সেটা বিবেচনায় রেখে আমাদের অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে। আমাদের কন্ট্রোল রুম আছে, সেটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরাও বসাচ্ছি। আমরা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করবো। পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান সড়ক সচিব।