বরিশাল নগরীর সাথে পূর্বাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চরকাউয়া খেয়াঘাট। প্রাচীণ এ ঘাটটি ব্যবহার করে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত।
দীর্ঘদিন থেকে উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মরনফাঁদে পরিনত হয়েছিলো ঐতিহ্যবাহী এ ঘাটটি। একইসাথে ঘাটের যাত্রী ছাউনিটিও দখল করে নিয়েছিলো কতিপয় দখলদার। ঐতিহ্যবাহী চরকাউয়া খেয়াঘাটের সেই মরনফাঁদের পুরনো চিত্র পাল্টে দিয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে খেয়াঘাটকে সাজানো হয়েছে পূর্বের জমিদার বাড়ির পুকুর ঘাটের আদলে। পাশাপাশি ঘাটের উপরাংশ ও যাত্রী ছাউনীকে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতের শোভাবর্ধক গাছ, ফোরপার্কিং টাইলস ও নানা রংয়ের আলোকসজ্জায়। যেকারণে একসময়ের অবহেলিত চরকাউয়া খেয়াঘাটটি এখন শুধু খেয়া পারাপারের স্থান নয়; এটি এখন দৃষ্টি নন্দন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয়দের প্রসংশায় ভাসছেন সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের পূর্বেই দৃষ্টিনন্দন খেয়াঘাট ও বিনোদন কেন্দ্রটি উদ্বোধণ করা হবে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সময়ে খেয়াঘাটে দুর্দশার চিত্র সরেজমিন পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। ওইসময় ভূক্তভোগীদের জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে সিটি মেয়র বরিশালের ঐতিহ্য রক্ষায় নিজস্ব অর্থায়নে খেয়াঘাটের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সে অনুযায়ী গত ১ মার্চ থেকে শুরু হয় খেয়াঘাটের উন্নয়ন, সংরক্ষণ এবং সংস্কারের কাজ।
চরকাউয়া খেয়াঘাটের পুনঃনির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধন কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার আশিকুর রহমান সুজন বলেন, সিটি মেয়রের নিজস্ব পরিকল্পনায় খেয়াঘাটে সিঁড়ির কাছে একটি স্থায়ী তোরন নির্মাণ করা হয়েছে। যার দুইপাশে মার্বেল পাথর দিয়ে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর মুর্যাল নির্মাণের কাজ শেষপর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া চরকাউয়া খেয়াঘাটটি যেহেতু ঐতিহ্যবাহী একটি ঘাট যে কারণে মেয়রের পরিকল্পনায় তোরনের উপর অংশে একটি নৌকা নির্মাণ করা হবে। সুজন আরও বলেন, ঘাটের উন্নয়ন কাজ শেষপর্যায়ে রয়েছে। সিটি মেয়রের নির্দেশে ঈদের আগেই দৃষ্টিনন্দন খেয়াঘাট ও বিনোদন কেন্দ্রেটি উন্মুক্ত করা হবে।