করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো ১১৩তম বারের মতো আব্দুল জব্বারের কুস্তি প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতায় নানা নাটকীয়তায় কুমিল্লার শাহজালাল বলীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন চকরিয়ার জীবন বলী।
গেল দুই বছর করোনা মহামারির কারণে কুস্তি প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবারও আয়োজন নিয়ে ছিল নানা সংশয়। তবে শেষ পর্যন্ত নানা প্রতিবন্ধকতার পরও ১১৩তম বারের মত বলী খেলার আয়োজন করতে পারায় খুশি আয়োজকরা।
এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১’শ জন কুস্তিগীর অংশগ্রহণ করেন। ঢোল বাজনার মাধ্যমে শুরু হয় আব্দুল জব্বারের বলী খেলার আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় দূর-দূরান্ত থেকে আসা কুস্তিগীররা নাচের মাধ্যমে তাদের শারীরিক কসরত প্রদর্শন করতে থাকেন।
দীর্ঘ দুই বছর পর এই আয়োজন অবশ্য কোনো মাঠে করা হয়নি। রাস্তায় অস্থায়ীভাবে মেলা আয়োজনের মাধ্যমে করা হয় জব্বারের কুস্তি খেলার আয়োজন। এ নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ আব্দুল জব্বারের বংশধর শত্তকত আনোয়ার বাদল। তিনি লাল দিঘীর মাঠে মেলা আয়োজনের জোর দাবি জানান।
মেলায় উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আয়োজন শেষে সমাপনী বক্তব্যে তিনি আগামী বছর থেকে নির্দিষ্ট মাঠে মেলা হবে বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে সোমবার (২৫ এপ্রিল) ঠিক বেলা চারটায় চকরিয়ার জীবন ও কুমিল্লার শাহজালাল এর মধ্যে কুস্তি প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে বিজয়ী হন জীবন বলী।
প্রায় ১১৩ বছর আগে ১৯০৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে একত্রিত করার জন্য আব্দুল জব্বার সত্তদাগর এ খেলার প্রচলন করেছিলেন।