২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে যুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জামাত নেতা সাহিরুদ্দিন মণ্ডলকে (সহিদুর রহমান) গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশের সাতক্ষীরার সীমান্ত সংলগ্ন বসিরহাটের বাদুড়িয়া চৌমাথা থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামী জেল থেকে পালিয়ে অবৈধ ভাবে বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বাদুড়িয়ার আটলিয়া গ্রামে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশর যশোর জেলার দিয়াপাড়া এলাকায় বাসিন্দা কাজি সাহিরুদ্দিন মণ্ডল জামাতের অন্যতম সদস্য। তার বিরুদ্ধে সিরিজ বোমা বিষ্ফোরনের অভিযোগ ওঠায় যাবদজীবন সাজা ঘোষনা করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার জবি থমাস কে বলেন, সন্দেহজনক হওয়ায় জেরা করতে ওই বাংলাদেশীকে নিজেদের হেফাজাতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আজ বসিরহাট আদালতে তোলা হলে তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় বিচারক।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে খবর আছে, প্রায় ৩৫ জন জামায়াত নেতা বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসাবে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে ২০০৫ সালের যশোর সিরিজ বোমা বিষ্ফোরন মামলার পলাতক এই আসামিকে হেফাজতে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামী জেল থেকে পালিয়ে অবৈধ ভাবে বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বাদুড়িয়ার আটলিয়া গ্রামে আশ্রয় নেয়। গত ১৫ বছর ধরে সেখানেই গা ঢাকা দিয়ে থেকে ফিসারির কাজ নেয়। ভারতে এসে আধার এবং প্যান কার্ড বানায় কাজি সাহিরুদ্দিন মণ্ডল। তা দেখিয়ে বিভিন্ন সরকারি সুবিধার পাশাপাশি কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকাতে ঘুরে বেড়াতে শুরু করে।
উল্লেখ্য, সাহিরুদ্দিন মণ্ডলের প্রকৃত নাম সইদুর রহমান। পশ্চিমবঙ্গ পালিয়ে তিনি ছদ্মনাম ধারণ করেন। ২০০৫ সালে সারাদেশের ন্যায় যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলাধীন নওয়াপাড়া শহরস্থ বাংলাদেশ বেতারের পাশে ও চেঙ্গুটিয়া নামক স্থানে সিরিজ বোমা হামলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সাইদ। তার নামে স্থানীয় থানায় দুইটি মামলা আছে মর্মে জানা যায়।