বরিশাল নগরীর কাশিপুর এলাকায় জমি নিয়ে দ্বন্দে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় উভয় পক্ষের ১১জনকে একটি পিস্তলসহ আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে কাশিপুরের গণপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী অয়ন হাওলাদার বলেন, জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসাদ ও জাফরদের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা চলছিলে। আদালতের মামলায় আমরা জিতেছি। এরপরও আমাদের প্রতিপক্ষরা নানানভাবে আমাদের হুমকি দিত। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আমরা আমাদের জমিতে সাইনবোর্ড টানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় আমাদের বাড়িতে আমার নানা বেড়াতে আসে। কিছুক্ষণ পরেই প্রতিপক্ষরা আমার নানাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। এতে স্থানীয়রাও ক্ষেপে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিপেটা করে আমাদের প্রতিপক্ষদের থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি আমার বাবা আবুয়াল হোসেন, নানা মোজাম্মেল হক, মামা তমালকেও থানায় নিয়ে যায়। আমার নানা মোজাম্মেল হকের কাছে একটি লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিল। ঝামেলা হওয়ার পরেও সেটি তিনি প্রদর্শন করেনি। এরপরও আমার নানাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আসাদ ও জাফরপক্ষের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় একটি ঘরকে ঘিরে রয়েছে স্থানীয় কয়েকশত মানুষ। ওই ঘরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রসহ বেশ কয়েকজন ছিলে। স্থানীয়রা বিক্ষোভ করতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর ওই ঘর থেকে দুই পক্ষের ১১ জনকে একটি পিস্তলসহ আটক করা হয়। মূলত তমাল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও তাদের দাবি পিস্তলটি লাইসেন্সকৃত। আমরা যাচাই বাছাই করছি। এক পক্ষের আবুয়াল হোসেন, হেমায়েত, মোজাম্মেল হক, তমাল এবং অপর পক্ষের নারীসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) জাকির আলম মজুমদার বলেন, তাদের আটক করে থানায় আনা হয়েছে।