চলতি গ্রীষ্মে ভারতের মহারাষ্ট্রে তীব্র গরমে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। গত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রে গরমে এত মানুষের মৃত্যু এটিই প্রথম।
গত কয়েকদিন ধরে উত্তর মহারাষ্ট্র, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া এবং বিধর্ভে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে থাকছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্যটির সব থেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে বিদর্ভ থেকে। অসহ্য গরমে সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। এরপর নাগপুরে মারা গেছে ১১জন।
এছাড়া, মারাঠাওয়াড়ায় ৬, জালগাঁওয়ে চার এবং আকোলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে রাজ্যের প্রায় চার’শ মানুষের সানস্ট্রোক হয়েছে।
সানস্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে নাগপুরে। এর আগে ২০১৬ সালে তীব্র দাবদাহে মহারাষ্ট্রে ১৯ জন মারা গিয়েছিলেন।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ভারতের বিশাল অঞ্চলজুড়ে কাঠফাটা গরমে কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লোকজন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু অহরহ লোডশেডিং ঘটছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগেভাগেই তীব্র গ্রীষ্ম শুরু হওয়ায় এ হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। দাবদাহে মানুষ হাঁসফাঁস করছেন। সূর্য থেকে তাপ যেন ঠিকরে পড়ছে।
দিয়েছে। হিটস্ট্রোক শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। অতিরিক্ত তাপে ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, কিডনিসহ মৌলিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়, ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না।
মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়, মাথা ঝিমঝিম করে। দেহকোষে তরল সরবরাহ কমে যায়, কোষগুলো প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।