হালখাতা মানেই বাঙ্গালিদের বাৎসরিক উৎসব।হাল খাতা মানেই বাংলা বছরকে বরন।হালখাতা মানেই পুরান হিসেব বাদ দিয়ে নতুন হিসেবের খাতা খোলা।গত শুক্রবার (১৩ মে) দক্ষিন বাংলার প্রধান বাণিজ্যিক বন্দর টরকীর “গাউছিয়া পানের আড়তে” হালখাতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পানচাষী, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মিলন মেলায় রূপান্তরিত হয়েছে হালখাতা অনুষ্ঠান।
গাধা, গোলাপ ও রজনীগন্ধাসহ নানা রং-এর ফুলদিয়ে সাজানো হয় গোটা পান আড়ত। বিক্রেতা, ক্রেতা ও আগন্তক অতিথীদের ফুলদিয়ে বরন করে নেয় গাউছিয়া পানের আড়ত কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বাদ জুম্মা কুরআন তেলাওয়াত দোয়া মিলাদের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান।মিস্টি মুখ, বিরিয়ানী, দধী, ফিরনী, কোল্ডড্রিংকস সহ হরেক রকমের আপ্যায়ন শেষে বাহারি রকমের মসলাদিয়ে পান খাওয়ানের মধ্যদিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ ছান্টু ভুইয়া, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান, পৌর যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ আলামিন হাওলাদারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ওগন্যমান ব্যক্তি বর্গ হালখাতা অনুষ্ঠানে যোগদেন।
গামছা, লুঙ্গি ও গেঞ্জি উপহারদেয়া হয় অতিথীদের।পানচাষী এবং ক্রেতারা জানান হালখাতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাউছিয়া পানের আড়ত কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। মধুমাসে এমন আয়োজনে আমরা মুগ্ধ। আড়ত পরিচালক মোঃ মনির হোসেন ঘরামি বলেন “আমাদের প্রতিষ্ঠান চাষী বান্দব। সম্মানীত চাষীরা আমাদের লক্ষী এবং সম্মানীত ক্রেতারা আমাদের মেহমান”।