বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের পতন ঘটিয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৪ মে) দুপুরে দিনাজপুর ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। ফখরুল সারা দেশে হত্যা, খুন ইত্যাদি চলছে অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, যে সমস্ত নেতারা হাজার হাজার টাকা লুট করে পাচার করেছেন তাদের আওয়ামী লীগে জায়গা হবে না। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তারাই হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন। ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনারা নির্যাতন করছেন, খুন করছেন, গুম করছেন। তার প্রমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে ফখরুল বলেন, অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এজন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি। তিনি বলেন, দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি রেজিনা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যকরী সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু প্রমুখ। এর আগে কাউন্সিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দ্বিতীয় অধিবেশনে দিনাজপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল শুরু হয়। এই কাউন্সিলে জেলার ১ হাজার ৯১৯ জন কাউন্সিলরের ভোটে নির্বাচিত হবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সাতটি পদে ৯ জন নেতা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন।