ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মোঃ কাওসার হোসেন ফকির (২৮বছর)নামের এক শিক্ষককে আটক করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ বন্দরথানা।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন আবু হুরায়রা রঃ নামের একটি মাদ্রাসায়। অভিযুক্ত কাওসার চাঁদপুরা মাদ্রাসার ফাজিল শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।ঘটনার শুরু গত বছর ঈদুল আজহার পর উক্ত মাদ্রাসায় রনি ১০ বছর (ছব্দ নাম) নামের এক ছাত্র তার ভর্তি হয়৷
রনি ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাকে বিভিন্ন সময় নিজের লালসার শিকার বানায় লম্পট শিক্ষক কাওসার। গত ১০ মাস যাবত তাকে দিনের দিন বলাৎকার করে শিক্ষক নামের ঐ নরপিশাচ কাওসার।
সর্ব শেষ পবিত্র রমজান মাসের ২৭ শে রমজান বলাৎকারের শিকার হয় শিশু রনি। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গেলে পেটে ব্যাথা ও মলদার দিয়ে রক্ত বের হওয়ার মতো শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়।
রনি মাতা মোসাঃ রুমা বেগম ছেলের কাছে জানতে চাইলে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনা। ছেলের প্রতি চরিত্রহীন শিক্ষকের এমন অমানুষিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মা রুমা বেগম।
অভিযোগ আমলে নিয়ে ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে ধর্ষক কাওসারকে আটক করে থানা পুলিশ সদস্যরা।
এ বিষয় ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ভিকটিমের মা রুমা বেগম আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরপর আমরা অভিযুক্ত কাওসারকে আটক করেছি।এখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আলী আশ্রাফ ভূইয়া বিপিএম বার বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর মাতা রুমা বেগম ছেলে বলাৎকারে বিষয় আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে আটকে করেছি এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাওসার তার নিজের দোষ শিকার করেছে।
আমরা বিষয়টি নিয়ে জোরালো তদন্ত করে দেখবো কারণ উক্ত মাদ্রাসায় আরও ২০ জন ছাত্র আছে তাদের সাথেও এমন কোন ঘটনা ঘটেছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে।অভিযুক্তের নামে মামলা রুজু হয়েছে এবং বিচারের জন্য তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।