জীবনযাত্রা, অর্থনীতি আর যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের আশায় পদ্মা সেতু চালুর দিন গুনছেন এখন বরিশালের মানুষ।
নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ সময়ের পাশাপাশি কমাবে পণ্যপরিবহনের খরচও।
স্থানীয় অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যাতায়াতে নদীর সহজলভ্যতা, আকাশপথ আর এখন পদ্মা সেতু ফেরিবিহীন সড়ক বরিশালের ব্যবসা বাণিজ্যে আমূল পরিবর্তন আনবে।
কীর্তনখোলার তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা বরিশালসহ, বিভাগের বেশির ভাগ মানুষেরই রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম লঞ্চ। ঝড়ের কবলে পড়াসহ নানা রকম ঝক্কি ঝামেলা নিয়ে যাতায়াতে এসব জলযানে সময় লাগে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা। তবে পদ্মা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে সেই চিরচেনা যাত্রা একেবারেই পাল্টে যাবে।
ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়কের নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতে আমূল-পরিবর্তন আনবে ব্যবসা বাণিজ্যে। পদ্মা সেতু শুধু সময় বাঁচাবে না, কমাবে পণ্যপরিবহনের খরচও, বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে গেলে আমাদের সার্বিক এই দক্ষিণ অঞ্চলের ব্যাপক একটা পরিবর্তন চলে আসবে।
স্থানীয় অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যাতায়াতে নদীর সহজলভ্যতা, আকাশপথ আর এখন পদ্মা সেতু, ফেরিবিহীন সড়ক বরিশালে বাণিজ্যের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
অর্থনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক মো. আক্তারুজ্জামান খান বলেন, শিল্পায়নের এই সম্ভাবনার কারণে একটা সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের প্রসারতা ঘটবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে শিল্পায়নের জন্য উদ্যোক্তারা আগ্রহী হবে এবং সেবামূলক কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ঘটবে।
শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন পাশে এরই মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠান জমি কিনেছে।