বরিশাল: পটুয়াখালীর দুমকিতে ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় এমন নৃশংস ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে দুমকি থানার ওসি মো. আবদুস সালাম ও পটুয়াখালী সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাইনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান খানের মেয়ে ইতি আক্তার (২৬) ৭ বছর আগে প্রেম করে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার সামন্ত এলাকার নূর আলীর ছেলে জলিলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই ইতির ওপর জলিল অমানসিক নির্যাতন চালাতেন। একপর্যায়ে ইতি নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসেন এবং স্বামী জলিলকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।
ডিভোর্স দেওয়ার খবর শুনে জলিল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শ্বশুরের ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় ইতির শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। ইতির ডাকচিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন আসলে জলিল পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইতির শরীরের আগুন নেভানোর আগেই ইতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ইতি ও জলিলের ঘরে ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ইতির বাবা আব্দুল মান্নান জানান, আমরা সবাই ঘুমের ঘরে ছিলাম; গভীর রাতে হঠাৎ মেয়ের ডাকচিৎকার শুনে সজাগ হয়ে দেখি মেয়ের শরীরে আগুন এবং জলিল আমাদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। জলিলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
দুমকি থানার ওসি মো. আবদুস সালাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।