গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৪৯৫ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৬৩ জনের মৃত্যু হলো।
গতকাল মঙ্গলবার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৯৭ জন। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে শনাক্ত রোগী সংখ্যা ৯৭ জন বেশি। অথচ ৩ দিন আগে গত রোববার শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৬৮ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৮৫১টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৯১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৯৫ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৮ জন। সুস্থ হয়েছেন আরো ৩৭২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৪১৬ জন।
এর আগে সবশেষ ২৩ ডিসেম্বর ৩৮২ জন কোভিড রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল। গত ১১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর আসে।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
চলতি বছর জুলাই-অগাস্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পায়। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ওই সময়টায় প্রতি পাঁচ দিনে মৃত্যুর তালিকায় ১ হাজার নতুন নাম যোগ হচ্ছিল। সেপ্টেম্বর থেকে সংক্রমণ কমতে শুরু করলে মৃত্যুর গ্রাফও নেমে আসে।
শীতের শুরুতে ইউরোপ-আমেরিকায় নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যুর বাড়ছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে। তবে বাংলাদেশে পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে।