ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক আকারে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সেভেরোদোনেৎস্ক শহরের দখল নিতে ইক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে চলছে তীব্র লড়াই। সবশেষ একদিনে ইউক্রেনের ৩শ’র বেশি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে মস্কো।
রোববার (২৯ মে) ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকিভ অঞ্চল সফরে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর এ প্রথম রাজধানী কিয়েভের বাইরে কোনো রণক্ষেত্রে সফর করলেন তিনি।
বুলেট প্রুফ ভেস্ট পরে খারকিভে ধ্বংস হওয়া বিভিন্ন ভবন ও এলাকা ঘুরে দেখেন জেলেনস্কি। পরে সেখানকার যোদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় যুদ্ধে সাহসিকতা ও অবদানের জন্য সেনাসদস্যদের হাতে পদক তুলে দেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের যে অবদান তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করছেন। আপনারা আমাদের বীর।’
খারকিভ ছেড়ে গেলেও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সেভেরদোনেৎস্ক শহর দখলে নিতে মরিয়া রুশ বাহিনী। শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। চলমান যুদ্ধে একদিনে ইউক্রেনের ৩শ’র বেশি সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে মস্কো।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশোঙ্কভ বলেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের হত্যার পাশাপাশি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ ইউনিট সামরিক ও বিশেষ সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।
এদিকে রুশ অগ্রযাত্রা ঠেকাতে ইউক্রেনে আরও অস্ত্র সহায়তা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ডেনমার্ক। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, ডেনমার্ক থেকে জাহাজবিধ্বংসী ‘হারপুন’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘হোইতজার’ কামানের চালান আসতে শুরু করেছে।