সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
বরিশালের কাজির হাট থানায় বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে সেনা সদস্যের নামে মিথ্যা মামলা। বরিশাল আদালতের সামনে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার জন্য অবস্থান কর্মসূচি করে আগামী ৩ বছরের জন্য বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন । মুফতি ফয়জুল করীম কে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বরিশাল সিটি নির্বাচনে জালিয়াতিপূর্ণ ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার দাবীতে মামলা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বরিশাল নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম , বরিশাল সিটি মেয়র হিসেবে ঘোষণা চান তিনি । ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এনবিআর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভান্ডারিয়াগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহন বাস খাদে পড়ে ১৩ যাত্রী গুরুতর আহত বাংলা শুভ নববর্ষ , উদ্যাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা কাশিপুর বাজারে বাস ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকের ড্রাইভার আহত।

স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণায় আমরা একটু পিছিয়ে আছি: প্রধানমন্ত্রী

একুশে ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬৮ জন নিউজটি পড়েছেন

দেশে স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণায় জোর দেওয়ার
জন্য চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির এই যুগে যেসব দেশ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে তারাই অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত উন্নতি করতে পারছে। কাজেই আমাদের উন্নতি করতে হলে অবশ্যই গবেষণা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমরা একটা জায়গায় একটু পিছিয়ে আছি গবেষণায়, সেটা হলো স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা আমাদের দেশে খুব কম হচ্ছে। চিকিৎসকরা রোগীর সেবা দিতে যতটা আগ্রহী, ঠিক গবেষণার দিকে নেই। হাতে গোণা কয়েকজনই নিয়মিত গবেষণা করেন। এ ক্ষেত্রে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি, আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা একান্তভাবে দরকার। তবে অন্যান্য গবেষণায় এখন যথেষ্ট আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হারানোর পর আমাদের দেশের অনেক সম্ভাবনাই প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। বর্তমান বিশ্ব এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব। আমরা সেখান থেকে অনেক দূরে ছিলাম। ২১ বছর পরে যখন আমরা সরকারে আসি, তখন আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নেই। জাতির পিতা এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের জন্য এবং বিজ্ঞান শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের পরে আমরা দেশে ছিলাম না। থাকতে পারিনি, আমাদের আসতেও দেওয়া হয়নি। ‘৮১ সালে ফিরে আসি। তখন থেকে আমি লক্ষ্য করেছিলাম, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি একটা অনীহা ধীরে ধীরে জন্ম নিচ্ছে। ‘৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে আসি তখন আমরা দেখি, বিজ্ঞান শিক্ষারদিকে কোনো আগ্রহ নেই। এমনকি বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীও পাওয়া যায় না। এটা হলো বাস্তবতা। অথচ জাতির পিতা শিক্ষাটা যাতে যুগোপযোগী হয় তারই ব্যবস্থা তিনি করতে চেয়েছিলেন। তিনি ‘৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করে দেন।

অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি একদিকে যেমন সব কিছু গড়ে তুলেছেন আবার একটি রাষ্ট্রের উপযোগী সমস্ত কাজগুলো তিনি করে দেন। মঞ্জুরী কমিশন গঠন করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার যাতে প্রসার হয় সেটার ব্যবস্থা নেন। সেই সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যাতে আমরা যোগাযোগ করতে পারি, সেই সময়, ৭৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্য হয় বাংলাদেশ। তিনি (বঙ্গবন্ধু) যে উদ্যোগগুলো নেন সেটাই আমাদের জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২১ বছর পরে যখন সরকারে আসি তখন দেখি, স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রী পাওয়া যায় না। কমার্স পড়ে, আর্টস পড়ে কিন্তু বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক কম। পড়ার আগ্রহটা কম। তখন আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করি ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের। পরিকল্পনা গ্রহণ করি এবং আমরা আইন পাস করে ৬টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শুরু। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নামটা এ জন্য দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের যেন ছাত্র-ছাত্রীরা আগ্রহ হয়। সে সময় কম্পিউটার কেউ ব্যবহার করতো না। কারো কারো টেবিলের ওপর পিসি থাকতো দৃশ্যমান কিন্তু ব্যবহার করতেই চাইতো না। আগ্রহটাই ছিল না। এটার পেছনে অন্য কারণ আছে। যারা সরকারে ছিল, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল। তাদের অবৈধ ক্ষমতা বৈধকরণের ক্ষেত্রে তারা দুর্নীতে সম্পৃক্ত হয়ে যায়, একটা এলিট শ্রেণি তৈরি করে, তাদের নানাভাবে অর্থশালী-সম্পদশালী করে তোলে। ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে এমনকি মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়, অর্থ তুলে দেয়। তাদের ব্যবহার করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোতে অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল তখন—এমন একটা অবস্থা ছিল। রাষ্ট্রের বা সাধারণ জনগণের কী প্রয়োজন সেদিকে তাদের খেয়ালই ছিল না। ক্ষমতাকে ভোগ করা এবং ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখা, এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, আগেও এসেছে এবং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। ১৯৯১ সালেই আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ হয়। আমাদের এই অঞ্চলে যখন সাবমেরিন ক্যাবল আসে, তখন বাংলাদেশকে অফার দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হওয়ার। আমাদের দুর্ভাগ্য, তখন বিএনপি সরকার ক্ষমতায়। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী, সে বলে দিলো এটা করা যাবে না। এটা করলে নাকি বাংলাদেশের সব তথ্য বিদেশে চলে যাবে। কী যে গোপন তথ্য তাদের ছিল সেটা আমি জানি না। আমাদের দেশটা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা যোগসূত্র করার যে একটা সুযোগ এবং আমাদের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার যে একটা সুযোগ এসেছিল বা প্রযুক্তি শিক্ষার মধ্য দিয়ে আমাদের উন্নয়নের যে সম্ভাবনা সেটা নষ্ট হয়ে যায়। সেটা তারা নষ্ট করে দেয়।

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরেক উদ্যোগ নিয়েছিলাম, আমাদের দেশের বিভিন্ন স্কুলে আমরা কম্পিউটার দেবো। ছেলে-মেয়েরা কম্পিউটারের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে। বিভিন্ন জায়গা থেকে কম্পিউটার সংগ্রহের চেষ্টা করি। প্রকল্প গ্রহণ করি, ১০ হাজার স্কুলে ১০ হাজার কম্পিউটার দেবো। সহযোগী সংস্থাগুলো এগিয়ে আসে। স্কুলের তালিকা করা হয়। কম্পিউটার কেনার ব্যাপারে নেদারল্যান্ড আমাদের অফার দিয়েছিল, অর্ধেক মূল্য আমরা দেবো, অর্ধেক মূল্য নেদারল্যান্ড দেবে। একটাই শর্ত তাদের দেশ থেকে, তাদের কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে হবে। আমরা রাজি হয়ে যাই। সব উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাদের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে যায়।

দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো নেদারল্যান্ডের ফুল হলো টিউলিপ আপনারা জানেন। ওদের কোম্পানির নামও টিউলিপের নামে কোম্পানি ছিল। আমাদের অতি জ্ঞানী তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কেউ বোঝায় শেখ রেহানার মেয়ের নাম টিউলিপ। কাজে নেদারল্যান্ডের সেই কোম্পানিটাও টিউলিপের। কাজে ওখান থেকে ওটা নেওয়া যাবে না। তাই সে সেটা ক্যানসেল করে দেয়। ক্যানসেল করার ফলে ওই কোম্পানি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা পরিচালনা করতে আইনজীবী ঠিক করতে হয়। সেখানে অনেক অর্থ ব্যয় হয়। এরপর বাংলাদেশ একটা শাস্তি পায়, প্রায় ৬০ কোটি ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। ১০ হাজার কম্পিউটার তো গেলই, উল্টো আরও ৬০ কোটি টাকা দিতে হলো একটা দেশের সরকার প্রধানের সিদ্ধান্তের কারণে। এ ধরনের সরকার প্রধান থাকলে তো দেশের উন্নতিটা কীভাবে হবে আপনারা সেটাই বুঝে নেন, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Sunday, 20th April, 2025
    SalatTime
    Fajr4:14 AM
    Sunrise5:32 AM
    Zuhr11:57 AM
    Asr3:24 PM
    Magrib6:22 PM
    Isha7:41 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102