চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে মঞ্চ ভেঙে পড়াকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নিজেদের কোন্দলের কারণে সমাবেশের মঞ্চ ভেঙে ফেলা দল ক্ষমতায় এলে দেশ ভেঙে দেবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় বিভিন্ন জেলায় বিএনপির সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি গত কিছুদিন ধরে বিএনপি সারাদেশে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে সমাবেশ করছে এবং সমাবেশ করতে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করছে।

তিনি বলেন, গতকাল চট্টগ্রামে আরো একধাপ এগিয়ে মঞ্চটাই ভেঙ্গে দিয়েছে। যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে নেতারা বক্তৃতা করছিলেন তাদের হুড়োহুড়ি-মারামারিতে মঞ্চ ভেঙ্গে গেছে। যারা সঠিকভাবে নিজেদের সমাবেশ করতে পারে না, মারামারি করে এবং সমাবেশ করতে গিয়ে মঞ্চটা ভেঙ্গে ফেলে তারা কিভাবে দেশ পরিচালনার কথা ভাবে সেটাই আমার প্রশ্ন।

যারা বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশে অবস্থান করে যারা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করছে। তাদের কয়েকজনকে এরইমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাসপোর্ট বাতিলের জন্য তাদের কয়েকজনের তালিকা সরকারের কাছে আছে। বাকিদেরও চিহ্নিত করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, অথচ তাদের দেশেই মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ান্তানামো বে একটি কুখ্যাত কারাগার, যেখানে গত বিশ বছর ধরে বন্দিদের বিনা বিচারে আটক রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং মানবাধিকারের প্রচন্ড লঙ্ঘন হচ্ছে। এই কারাগার যে নির্যাতন করার জন্য, সেটি সারা পৃথিবী জানে। জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস এক্সপার্টদের গতকালের বিবৃতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে কিভাবে চরমভাবে মানবাধিকার লংঘিত হয়। সেই বিবৃতিতে এটিও বলা হয়েছে, যে দেশটি সারা পৃথিবীতে মানবাধিকার রক্ষার কথা বলে তাদের দেশে কিভাবে মানবাধিকার চরমভাবে লংঘিত হয় আর তারই উদাহরণ হচ্ছে গুয়ান্তানামো বে কারাগার।

এসময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের মন্তব্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে জেলের তালা ভেঙ্গে বিদেশে নেয়া হবে এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির যে সমস্ত নেতারা বোরকা পরে জামিন নেয়ার জন্য হাইকোর্টে যায়, তারা যখন একথা বলেন, তখন তা মানুষের মনে হাস্যরসের উদ্রেক ঘটায়।