ভয়াবহ দাবদাহের কবলে পড়েছে পাকিস্তান। এরই মধ্যে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঠেকেছে। প্রচণ্ড গরমে জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় বিপাকে কৃষক। অন্যদিকে গরমে নাকাল প্রতিবেশী দেশ ভারতও। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ভয়াবহ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে একটু স্বস্তির আশায় রাস্তার পাশের ডোবায় নেমে পড়েছেন অনেকে। দৃশ্যটি পাকিস্তানের লাহোর শহরের। প্রতিদিনই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে লাহোরসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি সংকটে পড়েছে অঞ্চলটির অনেক কৃষক। ঠিকমতো সেচ দিতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে ফসল। বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
স্থানীয় এক চাষি বলেন, ‘আমাদের ফসল শুকিয়ে গেছে। ফলের গাছগুলোও হয়নি। পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। খালেও পানি নেই। মাত্র তো গ্রীষ্মকাল শুরু। জানি না সামনের দিগুলোতে কী করব।’
প্রচণ্ড গরমে বিপাকে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিরাও। গরমের ভয়াবহতা সহ্য করতে না পেরে মারা যাচ্ছে অনেক প্রাণী। একজন বলেন, পানির কারণে পশুপাখি মারা যাচ্ছে। দাবদাহে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। সরাসরি শীত থেকে গ্রীষ্ম। বসন্ত মৌসুম না থাকায় ফলনও কমছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে বরফ গলে সামনের দিনগুলোয় বন্যার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারকে বাঁধ নির্মাণে তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
তাপমাত্রা বাড়ায় বিপাকে ভারতও। দাবদাহের কারণে বাইরে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া পানি সংকটের মধ্যদিয়েও যাচ্ছে দেশটি। চলমান এ পরিস্থিতিতে পানির জন্য কয়েক কিলোমিটার হেঁটে কুয়ো থেকে পানি সংগ্রহ করছে দেশটির সাধারণ মানুষ।
ভারত, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন ভয়াবহ দাবদাহের কবলে। এ পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।