দেশে করোনায় আক্রান্তদের ২০ শতাংশই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ বিষয়ক এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ৭৬৯টি জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বিএসএমইউ’র জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চ প্রজেক্ট এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) -উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, করোনার জেনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরণ এবং বৈশ্বিক করোনার জেনোমের সাথে এর সম্পর্ক বের করতেই এই গবেষণা করা হয়েছে। আজ যে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে তা গত ৬ মাস ১৫ দিনের ফলাফল। সামনে এটি হালনাগাদ করা হবে।
গত বছরের ২৯ জুন থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশের করোনা রোগীদের ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। মোট ৭৬৯ জন রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছর বয়সী রোগীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২১ থেকে ৫৮ বছর বয়সীদের সংখ্যা বেশি।
গবেষণায় দেখা যায়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে, যেমন- ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ৬০ বছরের বেশি বয়সী রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকিও তুলনামূলক বেশি।
করোনার জেনোম সিকোয়েন্সিং বিশ্লেষণ গবেষণায় জুলাই ২০২১ এ দেখা যায় মোট সংক্রমনের প্রায় ৯৮ শতাংশই ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। পরবর্তীতে ৮ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত স্যাম্পলের ২০ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট এবং ৮০ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
গবেষণার তথ্যানুসারে, সামনের মাসগুলোতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট গুণিতক হারে বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।