আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর কাছ থেকে আবার ঋণ নিচ্ছে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার চাপ সমলাতে এই ঋণ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর প্রাথমিক আলোচনাও শুরু হয়েছে।
বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তাতে ৫ থেকে সাড়ে ৫ মাসের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব। বিশ্লেষকদের মতে, অন্তত তিন মাসের আমদানি দায় মেটানোর রিজার্ভ না থাকলে উদ্বেগ থেকে যায়। রিজার্ভ কমে যাওয়া, রেমিট্যান্স কমে আসা, সেই সঙ্গে আমাদনি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে ডলারের বিপরীতে দফায় দফায় টাকার মান কমানো হচ্ছে। তাতেও অস্থিরতা কাটছে না। যে কারণে এ ঋণের চেষ্টা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪১ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১৭০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। করোনার মধ্যে গত বছর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে এই ধারা কমে আসছে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সতর্কতার অংশ হিসেবে আইএমএফ এর ঋণ নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে ২ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে বাংলাদেশকে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে আসবে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে।