বরিশালের গৌরনদীতে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই একই সন্ত্রাসীরা গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের সদস্য সলিল গুহ পিন্টুকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আহতের মা তাপসী রানী গুহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
সলিল গুহকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করা মামলার আসামীরা এলাকায় অবস্থান করার পরও পুলিশ গত ৪৮ ঘন্টায় অতিবাহিত হওয়ার পরও রহস্যজনকভাবে তাদের গ্রেফতার করছেন না বলে মামলার বাদী এঅভিযোগ করেন।
আহত পিন্টু গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহ’র ছেলে ও মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ছোট ভাই। অপরদিকে যুবলীগ নেতা পিন্টুকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসী আসামী মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল রাঢ়ীকে তার সভাপতির পদ থেকে সাময়িক ভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তীতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলো- পূর্ব মাহিলাড়া ইউনিয়নের পূর্ব বেজহার গ্রামের মৃত আনোয়ার রাঢ়ীর ছেলে মাহিলাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি রাসেল রাঢ়ী, তার ভাই আরিফুল ইসলাম রাশেদ, একই গ্রামের মৃত রশিদ তালুকদারের ছেলে করিম তালুকদার, মিলন তালুকদার, একই গ্রামের রাজীব রাঢ়ী, মাসুদ রাঢ়ী, হাজীপাড়া গ্রামের রুহুল হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদার, মাহিলাড়া গ্রামের ভাসাই সিকদারের ছেলে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ার সিকদার,পূর্ব বেজহার গ্রামের জামাল হাওলাদারের ছেলে রবিন হাওলাদার, বাহাদুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার ছেলে কাজল মোল্লা সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন। মামলার এজাহার ও আহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা সলিল গুহ পিন্টু দীর্ঘদিন যাবত বালুর ব্যবসা করে আসছে। বালুর ব্যবসা নিয়ে আসামীদের সাথে যুবলীগ নেতা পিন্টুর বিরোধ রয়েছে।
এ বিরোধকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে মাহিলাড়া এলাকায় বসে পিন্টুর পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারী কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। এব্যাপারে আহতের ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান আমাকে এবং আমার পরিবারকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে রাখার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র করে আসছে।
সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার ছোট ভাই পিন্টুকে তিনবার হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। পিকলু আরো জানান, শুধু আমার পরিবারই নয় গৌরনদীর একাধিক ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে মেয়র হারিছুর রহমানের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
থানায় মামলা দায়ের হওয়ার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।