সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমুদ্রযাত্রার ভোগান্তিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বিসিবির কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড। সি-সিকনেস রোধে দেয়া ঔষধ না খাওয়ায় পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যায়। জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। টাইগারদের পরবর্তী সব সফর নিরাপদে হবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে ক্যারিবিয়ান বোর্ডের পক্ষ থেকে।
টেস্ট সিরিজ শেষে সেন্ট লুসিয়া থেকে নতুন গন্তব্য ছিল টি-টোয়েন্টি ভেন্যু ডমিনিকা। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে নৌপথে যাত্রার অভিজ্ঞতা না থাকায় মাঝ আটলান্টিকে অনেক ক্রিকেটার হয়ে পড়েন অসুস্থ। যা নিয়ে হয়েছে নানা সমালোচনা।
বিমান ছেড়ে কেন সমুদ্র পথ বেছে নিল স্বাগতিক ক্রিকেট বোর্ড। যার ব্যাখ্যা দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সি-সিকনেসের ঔষধ না খাওয়ায় হয়েছে এমনটা। সেই সঙ্গে বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করা হয়।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, এ ঘটনার পর আমরা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের এটাও বুঝতে হবে, সেখানে শুধু বাংলাদেশ টিম ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এবং অন্যরাও ছিল। করোনার কারণে ডমিনিকায় বিমানে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়ে। সে কারণে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ডমিনিকায় ২টি টি-টোয়েন্টি শেষে মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর গন্তব্য গায়ানা। এরই মধ্যে দল পৌঁছে গেছে সে দ্বীপে। তবে এবার আর নৌপথে নয়। সঙ্গে পরবর্তী যাত্রায় এমন অভিজ্ঞতা হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, তারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ট্যুর আয়োজন করেছে। আমাদের চেয়ে তাদের বেশি চিন্তা আছে।
এদিকে, টেস্টের পর বাজে সময় যাচ্ছে টি-টোয়েন্টিতেও। বিসিবি এই পরিচালক বলছেন, ব্যাটিং বোলিং বিভাগ এক সঙ্গে জ্বলে উঠেছে না বলেই ইতিবাচক ফল আসছে না।
টি-টোয়েন্টিতে খুব শিগগির ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে আসন্ন বিশ্বকাপে ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশা এই পরিচালকের।