ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা আইনত দণ্ডনীয় হলেও খোদ রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিআরটিসি বরিশাল ডিপোর বাসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাসের ভেতরে দুই পাশে নির্ধারিত আসনের মাঝখানে প্লাস্টিক ও কাঠের টুল দিয়ে প্রতিদিন যাত্রী আনা-নেওয়া করা হচ্ছে।
শ্রমিকরা দাবি করেছেন, অতিরিক্ত আয়ের জন্য এভাবে যাত্রী পরিবহন করে বাসগুলো। যাত্রীরা বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকাশ্যে আইন ভাঙলে অন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অনিয়ম করায় উৎসাহিত হবে।
যদিও বিআরটিসি বরিশাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, নিয়ম ভেঙে এভাবে যাত্রী পরিবহনের তথ্য জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টায় নথুল্লাবাদ থেকে খুলনার উদ্দেশে বিআরটিসির যে গাড়িটি টার্মিনাল ত্যাগ করেন সেই গাড়িতে আমার স্ত্রী-সন্তান গেছেন। গাড়িতে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী তোলা হয়েছে।
অনেকে দাঁড়িয়ে ঝুলে ঝুলে যাচ্ছেন। অনেককে গাড়ির স্টাফরা প্লাস্টিক ও কাঠের টুল এনে দেন বসার জন্য। এটি শুধু আজকের চিত্র না। সব সময়েই একই চিত্র দেখে আসছি। আমি মনে করি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এসব মনিটরিং করা দরকার।
বাসের আরেক যাত্রী আরিফুর রহমান পিয়াল বলেন, বিআরটিসি বাস লোকাল বাসের চেয়ে বেশি গাদাগাদি করে যাত্রী তোলে। আর এখন ঈদ পরবর্তী সময়ে মানুষের চাপ থাকায় বাদুড়ঝোলা করে আমাদের নেওয়া হচ্ছে। এই যাত্রী অভিযোগ করেন যাত্রী অতিরিক্ত তোলার প্রতিবাদ করলে স্টাফরা খারাপ আচরণ করেন।
যাত্রী সুমন বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কথা সব কর্মকর্তারাই জানেন। কিন্তু তারা স্টাফদের বাড়তি আয় করিয়ে দিতে কোনো ব্যবস্থা নেন না। বরং এতে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তিনি বলেন, বাস টার্মিনাল ছাড়ার পরই পুরো রুটে ডেকে ডেকে যাত্রী তোলেন। শুধু একটি বাসে না, বিআরটিসির প্রায় সবগুলো বাসেরই একই অবস্থা।
বিআরটিসি বরিশাল ডিপো ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্ধারিত আসনের চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার নির্দেশনা নেই। তারপরও যদি কোনো বাসচালক অনিয়ম করে থাকেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।