ভোলায় মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে জাটকা সংরক্ষণে বিশেষ অভিযান চলছে। বিপুল পরিমাণ জাটকা ও জাল জব্দ করা হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বাড়াতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
সমানতালে নদীতে জাটকা ধরা আর প্রশাসনের অভিযান চলছে। অবৈধ জাল অপসারণে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ভোলায় ‘বিশেষ কম্বিং’ অপারেশন চলছে। একইসঙ্গে গেল নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাটকা রক্ষা অভিযানও অব্যাহত রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, নদী অবৈধ জালমুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।
এ দিকে মাছের উৎপাদন বাড়াতে প্রশাসনের এমন তৎপরতাকে ইতিবাচক মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। তারা বলেছেন, খুব ভালোভাবে এগুলো অভিযান করে জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে জেলেদের সবার ভালো হবে। যে মাছ তারা ধরে নিয়ে আসে, তারা সেগুলো বাজারে বিক্রিও করতে পারে না। পরে সেগুলো পঁচে যায়। তারপর আবার নদীতে ফেলে দেয়। এ জাল নিষিদ্ধ করলে, আমরা বড় মাছ শিকার করতে পারব। এতে আমরা লাভবান হব।
মেঘনা- তেঁতুলিয়া নদীতে বিশেষ এই অপারেশনের দেড় শতাধিক অভিযানে প্রায় ৫ মেট্রিক টন জাটকা সহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের এ অভিযান চলতেই থাকবে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। সুতরাং, নদীতে আমরা যেখানেই অবৈধ জাল পাব, সব আমরা অপসারণ করব।
মেঘনা- তেঁতুলিয়া নদীতে চার ধাপের এ অপারেশন চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।