করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প মালিকরা সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেওয়ার লক্ষ্যে আরও ৩০ হাজার কোটি টাকার তৃতীয় প্রণোদনা ঋণের প্যাকেজ গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় প্যাকেজ থেকে ঋণ পায়নি কেবল তারাই তৃতীয় প্যাকেজ থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, প্রণোদনা প্যাকেজের তৃতীয় ও সর্বশেষ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ২৭ হাজার কোটি টাকা এবং বেপজা, বেজা ও বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষে অবস্থিত এ, বি ও সি টাইপ শিল্প প্রতিষ্ঠান ও উক্ত অঞ্চলগুলোর বাইরে শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন অথবা যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৩ হাজার কোটি টাকাসহ মোট ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলো।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, যেসব প্রতিষ্ঠান প্রথম ও দ্বিতীয় প্যাকেজে ঋণ সুবিধা পায়নি তাদের অনুকূলে তৃতীয় পর্যায়ের ঋণ সুবিধা প্রাপ্যতা সীমা নির্ধারিত হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান প্রথম ও দ্বিতীয় প্যাকেজ থেকে ঋণ সুবিধা পায়নি তারা এই প্যাকেজ থেকে অগ্রাধিকার পাবে।
ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এই প্যাকেজের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনের ভিত্তিতে ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের অর্ধেক অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণগ্রহীতা শিল্প বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।