ভোলায় পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংর্ঘষের ঘটনায় নিহত সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিমের লাশ ময়না তদন্ত শেষে আজ সোমবার দুপুরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে দুপুর ২টায় শহরের গোরস্থান মাদ্রাসার মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা শেষে ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তারআগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেফ হাসপাতালের মর্গে আবদুর রহিমের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাকসহ পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এসময় সময় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিহতের স্বজনদের সমবেদনা জানান এবং এই হত্যার বিচার দাবি করেন।
ভোলা সদর থানার ওসি মো: এনায়েত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানার এসআই মো. জসিম বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা করেছেন। একটি পুলিশ অ্যাসোল্ট অপরটি হত্যা মামলা। পুলিশ অ্যাসোল্ট মামলায় ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২৫০-৩০০জনকে আসামী করা হয়েছে।
হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০জনকে আসামী করা হয়েছে। গতকাল থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬জন, দৌলতখানে এক জন ও বোরহানউদ্দিনে ৩ জন।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে তেল, গ্যাসসহ দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতি এবং লোডশেডিং এর প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হন। এসময় ১০ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।