আধুনিকরূপে সংস্কার করা হবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন- জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (সিএবি)। এমনভাবে বাতি সংস্কার করা হবে যাতে আলোর কারণে এক মিনিটের জন্যও আর খেলা বন্ধ হবে না এই মাঠে।
ইডেন গার্ডেনে মেটাল হ্যালাইডের বাতির পরিবর্তে লাগানো হবে এলইডি বাতি। মেটাল হ্যালাইডের ক্ষেত্রে এক বার নিভলে তা ফের জ্বলতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। বাতি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত আবার জ্বালানো যায় না। কিন্তু এলইডি আলোর ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা-গরমের ব্যাপার নেই। একটি সুইচ টিপলেই আলো সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানো বা নেভানো যাবে।
স্টেডিয়ামগুলোতে সাধারণত বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটরের সাহায্যে আলো জ্বালানো হয়। সে ক্ষেত্রে কোনো ম্যাচ চলতে থাকলেও তা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু এলইডির ক্ষেত্রে এই সমস্যা পোহাতে হয় না। সে পথেই এবার হাঁটছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এ স্টেডিয়ামটি।
সিএবি আরও জানিয়েছে, অত্যাধুনিকভাবে সজ্জিত হতে যাওয়া বাতিস্তম্ভগুলোর সঙ্গে থাকবে মিউজিক সিস্টেমও। আলো-বাজনা, সবটাই নিয়ন্ত্রণ করা হবে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে। এ সম্পর্কে সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘পুরনো আলোগুলো আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে লাগাব। তা হলে সেই মাঠেও নৈশালোকের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ওঁদের অনুমতি পেয়ে গিয়েছি। বিশ্বের আধুনিক সব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ব্যবস্থা আছে। এটা অনেকটা বাড়ির সুইচের মতো। এক বার টিপলেই সঙ্গে সঙ্গে আলো জ্বলে উঠবে। ইডেনও সেই দিক থেকে এক ধাপ আধুনিক হতে চলেছে।’
সিএবি সচিব স্নেহাশিস বললেন, ‘২০১৯ সালে গোলাপি বলের টেস্টের সময়ই ইডেনের আলো নিয়ে একটু খটকা লাগে। তখন মনে হয়েছিল, আরও আধুনিক আলো লাগানোর দরকার। তখন আমি ধারাভাষ্য দেওয়ার কাজে নানা জায়গায় যেতাম। সেই সুবাদে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে দেখেছি, আলো নিভে যাওয়ার কোনও ব্যাপারই নেই। তার পর যখন সিএবি সচিব হলাম, তখন ইডেনের আলো সংস্কারের কথা মাথায় আসে। সেটা এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে।’