ইয়াবার পর বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে আইস। গত বছর ৩৫ কেজি জব্দ হলেও এবার জানুয়ারির প্রথম ২০ দিনেই জব্দ ১২ কেজি। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বলছে, সারা দেশে এর বিস্তারে আছে ৩০টি চক্র। আর মিয়ানমার থেকে তা পাচারে রোহিঙ্গাদের ব্যবহারের তথ্য দিচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আনার পুরোনো পথ কক্সবাজার-বান্দরবান। টানা অভিযান, বিপুল ইয়াবা জব্দের পরও বন্ধ করা যায়নি চোরাচালান। এর মধ্যেই মাথা ব্যাথার কারণ হয়েছে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস।
ইয়াবার রুটেই আসছে এই মাদক। ২০২১ সালে প্রায় ৩৫ কেজি আইস জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বিপরীতে চলতি মাসের ২০ দিনেই জব্দের পরিমাণ ১২ কেজি। গ্রেপ্তার ৫০-এর বেশি ব্যবসায়ী।
পুলিশ বলছে, উচ্চবিত্তের ছেলেমেয়েরাই আইসের প্রধান গ্রাহক ও বিক্রেতা। নানা পার্টিতে হয় বেচাকেনা। এখন তালিকা করে ধরা হচ্ছে চোরাকারবারিদের।
২০২১-এ ১৪ কেজি আইসসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাবও। তারা বলছে, এর বিস্তারে সারা দেশে সক্রিয় কমপক্ষে ৩০টি চক্র।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানাচ্ছে, ইয়াবায় মিথাইল অ্যামফিটামিন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। তবে আইসে সে হার ৯৬। এ মাদক সেবনে মৃত্যু প্রায় অনিবার্য। আর মিয়ানমার থেকে তা আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।
ইয়াবার সঙ্গে একই পথে দেশে ঢুকলেও, ধীরে ধীরে বাজার দখলে নিচ্ছে আইস।