উত্তর কোরিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সর্বাঙ্গীণ ও গঠনমূলক উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাশিয়া।
সোমবার (১৫ আগস্ট) পিয়ংইওংয়ের স্বাধীনতা দিবসে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রতিশ্রুতি দেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
জবাবে আরেক চিঠিতে কিম জং উন বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে জয়লাভের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক সুসংগঠিত হয়েছে।
তাদের ‘কমরেডীয় বন্ধুত্ব’ আরও শক্তিশালী হবে, যোগ করেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই দেশের স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন করা হবে।
চিঠিতে কিম বলেন, জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গড়ে ওঠা’ রাশিয়া-উত্তর কোরিয়া বন্ধুত্ব কয়েক শতক ধরে দৃঢ় ও উন্নত হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, ‘বিরুদ্ধ শক্তির সামরিক হুমকি ও উসকানি একসাথে মোকাবেলার মাধ্যমে’ দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত সহযোগিতা, সমর্থন ও ভ্রাতৃত্ব নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে’।
এই বিরুদ্ধ শক্তির নাম উল্লেখ না করা হলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের ক্ষেত্রে এই শব্দগুলো উত্তর কোরিয়া প্রায়ই ব্যবহার করে থাকে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন একসময় উত্তর কোরিয়ার অন্যতম মিত্র ছিল। দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহায়তা বিদ্যমান ছিল।
তবে আয়রন কার্টেনের পতনের পর এই সম্পর্কে কিছুটা চিড় ধরে। ২১ শতকের শুরুর দিকে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর উত্তর কোরিয়ার সাথে এ সম্পর্ক আবার শক্তিশালী হতে শুরু করে।