দুঃসময় পিছু নিয়েছে লিভারপুলের। ইপিএলের খারাপ ফর্ম তারা টেনে নিয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও। তাই তো গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাপোলির মাঠে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে গতবারের রানার্সআপরা। তাই ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আয়াক্সের মুখোমুখি হচ্ছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
এই মুহূর্তে দলটা ভুগছে অলরেডরা ভুগছে হীনমন্যতায়। একটা ভালো জয়ে ওরা নিশ্চিতভাবেই বাউন্স ব্যাক করবে। তবে প্রতিপক্ষ আয়াক্স বলেই কাজটা সহজ হবে না। তারওপর ইনজুরির লম্বা লাইনে বিপাকে ম্যানজেমেন্ট।
এই ম্যাচে ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন জর্দান হেন্ডারসন, নাবি কেইতা, অ্যালেক্স অক্সলেইড চেম্বারলিন, কার্টিস জোন্স, ইবরাহিমা কোনাতে ও কেলভিন রামসি। এ ছাড়া নতুন করে ইনজুরিতে পড়া অ্যান্ডি রবার্টসনকেও এই ম্যাচে পাচ্ছে না অলরেডরা।
তবে লিভারপুলের জন্য স্বস্তি হয়ে এসেছে থিয়াগো আলকান্ত্রার সুস্থ হয়ে ওঠার খবর। এই ম্যাচে ক্লপ অফফর্ম মিলনারকে বেঞ্চে রেখে থিয়াগোকে নামাবেন তা মোটামুটি নিশ্চিত বলা চলে। এ ছাড়া রক্ষণভাগে বাদ পড়ছেন জো গোমেজ। তার জায়গায় দেখা যাবে জোয়েল মাতিপকে।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে লিভারপুল কোচ ক্লপ বলেন, ‘ফুটবলারদের সঙ্গে অনেক মিটিং করেছি। নাপোলি ম্যাচের ভিডিও আবারও দেখিয়েছি। এটা খুবই বাজে ম্যাচ ছিল আমাদের জন্য। পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসতে চাই। সোজা কথা জয় পেতেই হবে আমাদের।’
রেঞ্জার্সকে হালি গোলের লজ্জায় ডুবিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে আয়াক্স। তবে এবার দম বন্ধ করে লড়তে হবে। প্রতিপক্ষ লিভারপুল বলেই হয়তো এত সতর্কতা ডাচ ক্লাবটি। ইনজুরি মুক্ত দল নিয়ে ওরা মন্ত্র জপে হারার আগেই হেরে যাওয়া নয়। তবে আয়ক্সের জন্য ম্যাচটা সহজ হবে না। তার ওপর ইতিহাসও পক্ষে নেই টুর্নামেন্টটির চারবারের শিরোপাজয়ীদের।
১৯৭১-৭৩ পর্যন্ত টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লীগজয়ী আয়াক্স সবশেষ শিরোপা জিতেছিল ১৯৯৫ সালে। তবে এই টুর্নামেন্টে লিভারপুলের বিপক্ষে তাদের শেষ জয়টা তারও অনেক আগের। ১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে শেষবার অলরেডদের হারিয়েছিল ডাচ চ্যাম্পিয়নরা।
লিভারপুলের সম্ভাব্য একাদশ: অ্যালিসন; অ্যালেক্সান্ডার আর্নল্ড, মাতিপ, ভ্যান ডাইক, সিমিকাস; ইলিয়ট, ফ্যাবিনিয়ো, থিয়াগো; জোটা, নুনেজ, দিয়াস।
আয়াক্স সম্ভাব্য একাদশ: পাসভির; রেনশ্চ, টিমবার, বাসেই, ব্লিন্দ; বার্ঘুইস, আলভারেজ, টেইলর; তাদিচ, কুদুস, বার্গুইন।