এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পরই ভারতীয় অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামিকে টি-টোয়েন্টির দলে ফেরানোর জোরালো গুঞ্জন চলছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের আগের দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে তাকে রাখা হলেও বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। আছেন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মোহাম্মদ শামি নাকি রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কাকে রাখা হবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তা নিয়েই অনেক সময় ব্যয় করেছিল নির্বাচকরা। শেষ পর্যন্ত শামির বদলে অশ্বিনকেই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের জন্য বেছে নেয়া হয়। শামিকে রাখা হয় রিজার্ভ দলে।
আরও জানা যায়, নির্বাচকরা ঠিক করতে পারছিলেন না ১৫ জনের স্কোয়াডে অশ্বিন এবং শামির মধ্যে কাকে রাখা হবে। এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানে দ্রাবিড় এবং রোহিত জানান তারা মূল দলে অশ্বিনকেই চাইছেন। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবিকেই সম্মতি দেয়াও হয়।
কোচ এবং অধিনায়কের মতে অশ্বিন দলে থাকলে একটা বৈচিত্র্য থাকবে। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে তার অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে। বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে অশ্বিনের সাফল্যও তাকে শামির থেকে এগিয়ে দিয়েছে।
তবে বিশ্বকাপে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকলেও ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শামিকে দলে নেয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা জসপ্রীত বুমরা এবং হার্শাল প্যাটেলের ওপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে খুব বেশি চাপ দিতে রাজি নন নির্বাচকরা। সে কারণে ঘরের মাঠে এই দুই সিরিজে শামিকে ব্যবহার করা হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: চমক রেখে ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
এক সাক্ষাৎকারে সাবেক নির্বাচক সাবা করিম বলেন, ‘শামিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রিজার্ভ দলে রাখা মানে এটা স্পষ্ট যে বোর্ড এখনও বুমরা এবং হার্শালের চোট সারিয়ে ফেরার ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। সেই কারণেই শামিকে তৈরি রাখতে চাইছে তারা।’
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে ভারতের হয়ে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি শামি। তবে গেল আইপিএলে দারুণ ফর্মে ছিলেন। ১৬ ম্যাচে ২০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। ইকোনমি-৮।
ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, দিনেশ কার্তিক, দীপক হুদা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অক্ষর প্যাটেল, যুজবেন্দ্র চাহাল, হার্দিক পান্ডিয়া, জসপ্রীত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, হার্শাল প্যাটেল ও আর্শদীপ সিং।
স্ট্যান্ডবাই– মোহাম্মদ শামি, শ্রেয়াস আইয়ার, রবি বিষ্ণোই ও দীপক চাহার।