জামালপুর সদর উপজেলায় বন্ধুকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে মরদেহের পাশ থেকে মো. সাজু মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মো. জাহিদ (২৬) নামে ওই যুবককে হত্যার পর না পালিয়ে তার বন্ধুর মরদেহের পাশেই বসেছিলেন সাজু। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে মরদেহের পাশ থেকে গ্রেফতার করে।
নিহত জাহিদ জামালপুর পৌর শহরের মৃত জবেদ মিয়ার ছেলে। আর গ্রেফতার সাজু মিয়া সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের মহেশপুর এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ট্রাক্টর চালক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, সম্প্রতি তারা দু’জন ভিন্ন অপরাধের দায়ে জামালপুর জেলা কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকায় অবস্থায় দু’জনের মধ্যে পরিচয় হয়। পরে দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এরপর দু’জনেই কারাগার থেকে বের হয়। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মো. জাহিদ এক বোতল মদ নিয়ে সাজুর বাড়িতে যান। রাতে দু’জনে এক সঙ্গে মদপান করেন।
এরপর মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ঘরের মধ্যেই জাহিদকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। সাজু মিয়ার ঘরটি জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একদম পাশেই। বৃষ্টির কারণে আশপাশে তেমন কোনো মানুষের আনাগোনা ছিল না। ঘরের মধ্যে দীর্ঘ সময় রক্তাক্ত মরদেহের পাশেই সাজু বসেছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে দুপুরের দিকে মরদেহটি ঘর থেকে টেনে বাইরে বের করছিল সাজু। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কাজী শাহ্ নেওয়াজ বলেছেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।