ইউক্রেনের খারকিভ প্রদেশে রুশ বাহিনীর হাত থেকে পুনরুদ্ধার করা ইজিয়াম শহর পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পুনর্দখলের তিনদিন পর বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক আকস্মিক সফরে যান তিনি। খবর আল জাজিরার।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী। এরপর ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। সম্প্রতি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে পাল্টা প্রতিরোধ আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনারা।
ইউক্রেনের দাবি, পাল্টা হামলার মুখে রুশ সেনারা পিছু হটছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া আক্রমণে উত্তর-পূর্বে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বেড়াজালকে ভেঙে ফেলেছে তারা।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদন মতে, ইউক্রেনের সপ্তাহব্যাপী পাল্টা হামলার মুখে গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) খারকিভের ইজিয়াম শহরটি দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
ইজিয়ামকে দোনবাস অভিযানের রসদঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করত রুশ সেনাবাহিনী। শহরটির পতনকে মস্কোর জন্য একটা বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এর পুনর্দখলকে ইউক্রেনীয় সেনাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অগ্রসর হওয়ার ঘটনাকে যুদ্ধের ‘মোড় পরিবর্তন’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে ইউক্রেন। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, এ জয় ইউক্রেনের উদ্দীপনা বাড়াবে।
খবরে বলা হয়, উভয় পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় ইজিয়াম শহরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবাসিক ভবনগুলো আগুন ও কামানের গোলার আঘাতে কালো হয়ে গেছে। শহরতলীতে রুশ সেনাদের ফেলে যাওয়া ট্যাংক ও সামরিক যান রাস্তার ধারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।
বুধবার বিধ্বস্ত শহরটি পরিদর্শন করেন জেলেনস্কি। এসময় তিনি ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শহরটি মুক্ত করতে অবদানের জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, এখানকার দৃশ্য ভয়াবহ। কিন্তু আমার কাছে এটা নতুন নয়। কারণ আমরা একই ধরনের চিত্র বুচা শহরেও দেখেছি। শুরুর দিকে রাশিয়া যেসব এলাকা দখল করেছে সেগুলোতেও একই পরিস্থিতি ছিল। তারা ভবন ধ্বংস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে।