আফ্রিকান নেশন্স কাপের ম্যাচ দেখতে গিয়ে ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। আহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
নেশন্স কাপের শীর্ষ ষোলো’তে ক্যামেরুনের জয় মাঠে বসে উপভোগ করতে চেয়েছিলেন সমর্থকরা। করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মাঠে ঢুকতে চেয়েছিলেন ৫০ হাজারের বেশি দর্শক। আর তাতেই হয়েছে এমন দুর্ঘটনা। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে জানিয়েছেন ক্যামেরুনের মধ্যাঞ্চলের গভর্নর পল বিয়া।
প্রিয়জনকে হারিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে আর্তনাদে ভেঙে পড়েন নারী ও পুরুষরা। কেউ নিজেই আহত, খুঁজছেন সঙ্গীকে। কেউ বা আবার খুঁজে পাচ্ছেন না বড় আদরের ছোট্ট শিশুটিকে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য জুতা ও পরিত্যক্ত দ্রব্য। সব মিলিয়ে ভয়াবহ এক পরিস্থিতি তৈরি হয় ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্ডের ওলেম্বে স্টেডিয়ামের বাইরে। ফুটবল পাগল ক্যামেরুনের মানুষ। নেশন্স কাপের শীর্ষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছিলো স্বাগতিকরা। প্রিয় দলের খেলা দেখতে সবাই ছুটে আসেন ওলেম্বে স্টেডিয়ামে। কিন্তু ম্যাচ দেখতে এসে পদদলিত হয়ে হারাতে হল প্রাণ।
করোনা পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আফ্রিকাতে দ্রুতই অবনতি হচ্ছে। এ কারণে স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশেও আরোপ করা হয় নানা বিধিনিষেধ। স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার হলেও, এ ম্যাচে ধারণক্ষমতার আশি শতাংশের বেশি মানুষের প্রবেশের সুযোগ ছিল না। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, অন্তত ৫০ হাজার মানুষ স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে শুরু হয় হুরোহুরি। পদদলিত হয়ে মারা যান ৮ জন। আহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি মানুষ। ঘটনাস্থলের পাশের একটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যারা আহত তাদের অনেকের অবস্থায় আশঙ্কাজনক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ভুক্তভোগী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি খেলা দেখতে ঢুকতে চেয়েছিলাম। আমার কাছে ম্যাচের টিকিটও ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করি। অনেক কষ্টে প্রাণে বেঁচে ফিরেছি। এ অভিজ্ঞতা বলে বোঝাতে পারব না।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি আমার সঙ্গীকে খুঁজছি। আমরা একসঙ্গেই ছিলাম। কিন্তু যখন একজন আরেকজনের গায়ের ওপর এসে পড়ল। তখন ওকে হারিয়ে ফেলি। এখনও ওকে পাইনি। অনেকেই মারাত্মক আহত হয়েছে। অনেক শিশুও মাঠে ঢুকেছিল। ‘
এ ঘটনার পরেও আফ্রিকান নেশন্স কাপে ক্যামেরুন ও কমোরসের মধ্যকার ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে মাঠে গড়ায়। ,