এবার ৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচনে যেতে চায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। সে লক্ষ্য নিয়েই প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তবে নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগে জাতীয় পার্টির উত্তাপ ছড়ানোর চেষ্টাকে দলটির রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
পদ পদবীসহ নানা ইস্যুতে নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি, অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ, কাউন্সিল এমন নানা ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে আবারো আলোচনায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি।
সেই আলোচনা থামতে না থামতেই শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান জি এম কাদের জানান, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর নেই জাতীয় পার্টি। এ সময় পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় নির্বাচন বর্জনেরও হুঙ্কার দেন তিনি।
জোটে না থাকলে জাতীয় নির্বাচনে কোন রূপে দেখা যাবে জাতীয় পার্টিকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সময় সংবাদকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু জানান, আর কোনো জোটে নয়-আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে তার দল।
তবে, জাতীয় পার্টির অতীত ইতিহাস বিবেচনায় নেতাদের এসব কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না বিশিষ্টজনরা।
এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে দলগুলো যখন ভোটের মাঠের জোটের হিসেব কষছে তখন নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে আগেভাগেই কৌশলী এরশাদের দল। নির্বাচনের আগ মুহূর্তেই স্পষ্ট হবে জাতীয় পার্টির আসল অবস্থান।
দেশের মানুষের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে দলীয় কোন্দল মিটিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে একটি আদর্শিক অবস্থান তৈরি করে সামনের দিকে হাঁটতে হবে জাতীয় পার্টিকে। এমনটাই মত বিশ্লেষকদের।