বাংলাদেশের নারী ফুটবলের বড় বিজ্ঞাপন মনিকা চাকমা। ফাইল ছবি
ভুটানকে বিধ্বস্ত করে দ্বিতীয়বারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ। ফুটবলার মনিকা চাকমার জন্য জন্মদিনে সেরা উপহার এর চেয়ে আর কী হতে পারত। তবে খাগড়াছড়ির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উঠে আসা লাল-সবুজের এ প্রতিনিধির জন্য আরও বড় চমক অপেক্ষা করছিল বাংলাদেশের ফুটবলের স্মরণীয় এ দিনটিতে। ফাইনালে ওঠার দিনে টিম হোটেলে কেক কেটে দলের সেরা এ মিডফিল্ডারের জন্মদিন উদ্যাপন করতে ভোলেননি সতীর্থ এবং কোচিং স্টাফরা।
বছর তিনেক আগে ২০১৯ সালে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে মনিকার একটি দর্শনীয় গোল স্থান পেয়েছিল ফিফার দর্শক জরিপে সেরা পাঁচে। রাঙামাটির দুর্গম পাহাড়ে বেড়ে ওঠা এই ফুটবলারকে এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন বাংলাদেশের নারী ফুটবলের বড় বিজ্ঞাপন তিনি।
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম সুমন্ত পাড়া গ্রামে তার জন্ম। ছোট থেকেই ফুটবলের প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড ঝোঁক। একজন মেয়ে হয়েও শত বাধা ডিঙিয়ে ফুটবলশৈলীর মাধ্যমে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলে ডাক পান মনিকা। এরপরই নিজ যোগ্যতায় জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। এখন সাবিনা-মারিয়াদের সঙ্গে দলের নিয়মিত মুখ মনিকা চাকমা।
ফাইনালে ওঠার আনন্দ এবং সতীর্থদের সঙ্গে জন্মদিন উদ্যাপন নিয়ে এ ফুটবলার সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমি খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমার যে আজ (শুক্রবার) জন্মদিন ছিল, খেলার চাপে ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু সবাই ঠিকই মনে রেখেছে। বিশেষ করে মাহফুজা আক্তার কিরণ (বাফুফের নারী ফুটবলের প্রধান) ম্যামসহ সবাই মিলে আমার জন্মদিনটা স্মরণীয় করে রাখলেন। কেট কেটে উদ্যাপন করা হয়েছে।’
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভুটানের বিপক্ষে ৮-০ গোলের বড় জয়ে ফাইনালে উঠে যায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টটিতে বাংলাদেশ কতটা অপ্রতিরোধ্য ছিল, সেটি একটা পরিসংখ্যান দিলে আরও স্পষ্ট হবে। আসরে এখন পর্যন্ত খেলা চার ম্যাচে সাবিনারা গোল করেছে ২০টি। হজম করেনি একটিও। এর মধ্যে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন একাই করেছেন ৮ গোল। যার মধ্যে দুটি হ্যাটট্রিক রয়েছে।
এমন দাপুটে জয়ের পর মনিকা চাকমা আরও জানান, ফাইনালের আগে সবাই মিলে এমন উদ্যাপন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। ফাইনালে ভালো কিছুই অপেক্ষা করছে বলে জানান তিনি।