ছবি: সংগৃহীত
পুরোনো দিনের গান হরহামেশাই গেয়ে উঠি আমরা। কিছু গানের আবেদন আজও অনেক, ঠিক যেমন গান মুক্তির সময় ছিল। আর এই সময়ের শিল্পীদের হরহামেশাই পুরোনো দিনের গানগুলো রিমেক করতে দেখা যায়।
জনপ্রিয় ভারতীয় সংগীত তারকা নেহা কাক্কার। মাঝেমধ্যেই পুরোনো দিনের গান রিমেক করেন তিনি। পুরোনো যত ভালো গান আছে, যা নস্টালজিয়া উসকে দেয়, সেগুলোকে বেছে বেছে রিমেক বানান তিনি। এর জন্য বহুবার ট্রোলও হয়েছেন নেহা। কিন্তু এতে তার কিছু যায় আসে না।
আরও একবার একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন নেহা। নব্বই দশকের ছেলেমেয়েদের আবেগ ফাল্গুনী পাঠক। তার ‘সজনা’ গানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কতশত প্রেমের আখ্যান। আর এই গানটিই টি সিরিজের সঙ্গে মিলে রিমেক বানিয়েছেন নেহা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই গানেরই প্রথম ঝলক। আর তা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটনাগরিকরা।
অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, বেছে বেছে পুরোনো গানগুলোকে কেন নষ্ট করছেন নেহা। নস্টালজিয়াগুলোকে শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি। একজন লিখেছেন, ‘নেহা দয়া করে এবার চুপ কর। টি সিরিজ এবার একটা খিচুড়ির দোকান খুলুক। কারণ, সব গানের তো খিচুড়ি বানিয়ে ফেলছে।’
আরেকজন লিখেছেন, দায়িত্ব নিয়ে সবার ছোটবেলাটাকে নষ্ট করে ছাড়ছেন নেহা। ফাল্গুনী পাঠক এত সুন্দর একটা গান উপহার দিয়েছিলেন এত বছর আগে। নিজের বেসুরো গলা দিয়ে গানটার শ্রাদ্ধ না করলে চলছিল না?
নেহা শুধু রিমেক গানের জন্য নয়, কথায় কথায় কেঁদে ফেলার জন্যও বেশ সমালোচিত হন। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন নেহা। গায়িকা বলেন, তিনি অত্যন্ত সংবেদনশীল। কিন্তু তার মতো অনেকেই এমন আবেগপ্রবণ হয় না। তারা তাকে ‘নাটকবাজ’ বলে ভাবেন।
নেহা বলেন, ‘যারা আমার মতোই আবেগপ্রবণ, তারা আমাকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এখন বেশির ভাগ মানুষই অন্যের কষ্টটা বোঝে না। একে অপরের সাহায্য করে না। আমার মধ্যে সেই গুণটা আছে, আর এর জন্য আমি গর্বিত। যারা আমাকে ট্রোল করে, তাদের আমি দোষ দিই না।’