সিঙ্গাপুরের মতো বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি কর্ণফুলি নদীর পানি পরিশোধন করে চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা করেছে চট্টগ্রাম ইপিজেড। বিদেশি বায়ারদের চাহিদা অনুযায়ী প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই প্রতিদিন অন্তত ৩০ লাখ গ্যালন পানির জোগান আসবে। সেই সঙ্গে ওয়াসা থেকে না পেয়ে নিজেদের উদ্যোগেই বৃষ্টির পানি ব্যবহার শুরু করেছে ইপিজেডের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি অংশে এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে পানির বড় একটি ট্যাংক। যেখানে কর্ণফুলি নদীর পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রথমেই জিকজ্যাক পদ্ধতিতে অপসারণ করা হয় পানির ময়লা। দ্বিতীয় পর্যায়ে জমা হওয়া এসব পানি পরিশোধনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক নানা যন্ত্রপাতি।
প্রতিদিন চট্টগ্রাম ইপিজেডে ৬০ থেকে ৭০ লাখ গ্যালন পানির চাহিদা। তার বিপরীতে চট্টগ্রাম ওয়াসা সরবরাহ করছে মাত্র দেড় থেকে দুই লাখ গ্যালন পানি। সংকটের মুখে পানির চাহিদা মেটাতে পাশের কর্ণফুলি ইপিজেড থেকে ৩০ লাখ গ্যালন পানি ধার করে চট্টগ্রাম ইপিজেড। এ অবস্থায় বিদেশি বায়ারদের চাহিদা অনুযায়ী ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে প্রাকৃতিক উৎস থেকেই পানির সন্ধানে চট্টগ্রাম ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।
সাইলো জেটি পয়েন্ট থেকে পাম্পের মাধ্যমে কর্ণফুলি নদীর পানি আনা হবে ইপিজেড ট্যাংকে। এ ছাড়া ইপিজেডের বিভিন্ন ড্রেনেজের মাধ্যমেও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ হচ্ছে এখানে।
এদিকে মাইডাস সেফটি নামে ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠান দুমাস ধরে তাদের দুটি ইউনিটে প্রায় সাড়ে চার লাখ গ্যালন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং ব্যবহার করছে।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের মাইডাস সেফটি মহাব্যবস্থাপক মঈনুল হোসাইন বলেন, ‘চেষ্টা করছি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে আমাদের প্রোডাকশনে ব্যবহারের জন্য। তিনি আরও বলেন, আমরা যে পানি সংরক্ষণ করেছি, তা দিয়ে চার থেকে সাড়ে চার মাস চালাতে পারব।’
মাইডাস সেফটির বৃষ্টির পানি প্রকল্প বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হলেও ৪৫ কোটি টাকা মূল্যের ইপিজেডের মূল প্রকল্প ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা।