চাল বিক্রিতে প্রতারণা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করছে সরকার। এরই মধ্যে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২২’ নামে আইনটির খসড়াও তৈরি হয়ে গেছে।
আইনের ৩ ধারায় অপরাধ সম্পর্কে বলা হয়েছে: ধারার উপধারা ক (২)-এ বলা আছে, কোনো স্বীকৃত জাতের খাদ্যশস্য থেকে তৈরি খাদ্যদ্রব্যকে স্বীকৃত জাতের উপজাত পণ্য হিসেবে উল্লেখ না করে ভিন্ন বা কাল্পনিক নামে বাজারজাত করে ক্রেতাকে প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা অনুরূপভাবে প্রতারিত ও ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
উপধারা (খ)-এ বলা আছে, নিজের খাওয়া ছাড়া পরিবহন যান বা গুদামে বা যেকোনো স্থানে সরকারঘোষিত পরিমাণের অধিক খাদ্যশস্য মজুত রাখা এবং খাদ্যশস্যের হিসাব কর্তৃপক্ষকে দেখাতে ব্যর্থ, মজুতের তথ্য গোপন করা অপরাধ।
উপধারা (৪)-এ পুরোনো চাল পলিশ করে অসৎ উদ্দেশ্য সরকারি গুদামে সরবরাহ করা, সরকারি গুদামের খাদ্যশস্য অবৈধভাবে সংগ্রহ করে অথবা দেশীয় চালের পরিবর্তে আমদানি করা চাল সরকারি গুদামে সরবরাহ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইনে আরও বলা রয়েছে, সরকারি গুদামের খাদ্যশস্যভর্তি বস্তা পুনরায় সরকারের কাছে বিক্রি করা, সরকারি গুদামের সিলযুক্ত চাল বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তি হবে। প্রকল্পে বিতরণকৃত চাল পরিমাণে কম দেওয়া, উপকারভোগী ছাড়া অন্য কাউকে দিলে শাস্তি হবে।
খাদ্যশস্য বিক্রি-বিতরণকালে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত বাটখারা ব্যবহার না করা, লেনদেনের হিসাব সংরক্ষিত না রাখা, খাদ্যশস্যের মজুতসংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য বা বিভ্রান্তি করা হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এসব আইনের ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।