সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয়ে দেশজুড়ে বইছে আনন্দের জোয়ার। এ সময় নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনের বাবাকে হুমকি দিয়েছেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারী ফুটবলার আখিঁর বড় ভাই নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একটি কাগজে সই করতে রাজি না হওয়ায় বাবাকে থানায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহজাদপুর থানার এএসআই মামুনসহ একটি টিম আমাদের বাড়িতে আসে। এ সময় বাবাকে বলেন, ‘সরকার থেকে আঁখিকে যে জায়গাটি দেওয়া হয়েছে। এই জায়গার ওপরে কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আপনারা এখান থেকে চলে যান। তা না হলে থানায় ধরে নিয়ে যাবো’।
ভুক্তভোগী আঁখির বাবা বলেন, ‘আমি বাদী বা আসামি কোনোটাই না। পুলিশকে বলেছি আপনারা ইউএনও বা ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। তখন আমাকে কটূক্তি করেছে তারা। আর এক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলেছে’।
ফুটবলার আঁখি খাতুন জানান, ‘আমার বাবাকে থানা থেকে ধমকানো হয়েছে, একটা পেপার নিয়ে। বলেছে সই করতে হবে, আমার বাবা সই করেননি। তাই আমার বাবাকে থানায় নিয়ে যাবে বলেছে। আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে, আমি যাওয়ার পর থানায় যেতে হবে আমাকেও’।
শাহজাদপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মামুন হোসেন জানান, ‘জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের মাধ্যমে কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ নিয়ে আঁখির বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। সেই নোটিশটি আঁখির বাবা বুঝে পাইলেন, এই জন্য একটি সই করতে বলা হয়। এ বিষয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওসি স্যার ঘটনাস্থলে আসলে স্যারের সামনে সরি বলেছি’।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারিকুল ইসলাম বলেন, ফুটবলার আঁখির জন্য ১নং খাস খতিয়ানের একটি জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি হাজী মকরম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি ওই জমির তার দখলে রয়েছে দাবী করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে মামলায় তিনি ওই জমির মালিকানা দাবি করেননি। মামলার তফসিলে খতিয়ানও উল্লেখ করেননি। প্রকৃতপক্ষে আঁখিকে দেওয়া জমিটি ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত। যেটা এখনও আমাদের দখলে রয়েছে। আঁখির পরিবার যাতে ওই জমি না পায়, সে জন্য একটি চক্র এই মামলা দায়ের করেছে।