ফিলিপিন্সে টাইফুন নোরুর আঘাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে, তারা সবাই উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ছিলেন। প্রাণহানির আশঙ্কায় অন্তত ৭৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এরই মধ্যে রাজধানী ম্যানিলাসহ এর আশপাশের এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
টাইফুন নোরুর আঘাতে বিপর্যস্ত ফিলিপিন্সের পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপগুলো। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) আঘাত হানার পর টাইফুনের প্রভাবে সোমবারও (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে দেশটির লুজনসহ আশপাশের দ্বীপগুলোতে। এতে ডুবে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
এ ছাড়া বন্যার পানিতে তলিয়ে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় অন্তত ৭৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া উত্তাল সমুদ্রের আশপাশে মাঝিদের না যাওয়ার সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
শক্তিশালী টাইফুন নোরুর প্রভাবে এরই মধ্যে রাজধানী ম্যানিলাসহ এর আশপাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে সবরকম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
টাইফুনটি এ বছর ফিলিপিন্সের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানায়, টাইফুনের প্রভাবে ২৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। প্রথমে বাতাসের বেগ ১২০ কিলোমিটার থাকলেও মুহূর্তেই প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ২৪০ কিলোমিটারে পৌঁছে যায়। এ ছাড়া টাইফুনের কারণে রাজধানী দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরগুলোতে আটকে পড়েছেন সহস্রাধিক যাত্রী।
প্রশান্ত মহাসাগরের ৭ হাজারের বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি প্রতিবছর ছোট বড় ২০টিরও বেশি ঝড়ের কবলে পড়ে। তবে নোরু এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।