সাকিব আল হাসানের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়রস টানা চার ম্যাচ জিতে জায়গা করে নিয়েছে প্লে-অফে। তবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। দলও পায়নি জয়ের দেখা। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) প্লে-অফে প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাকিম কর্নওয়ালের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে স্রেফ উড়ে গেছে সাকিবের গায়ানা। তবে ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি তাদের।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদশ যখন আরব আমিরাতের মুখোমুখি তখন সুদূরে ক্যারিবিয়ান সাগরতীরে সাকিব আল হাসান ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ সিপিএলের প্লে-অফ ম্যাচে। এবারের আসরে সাকিব খেলছেন গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে।
সাকিব যখন দলে যোগ দেন তখন দল প্রথম পর্ব থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায়। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার যোগ দেওয়ার পর তারা জয় পায় টানা চার ম্যাচে। এর মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচে বল হাতে সফল হলেও ব্যাট হাতে কোনো রানই করতে পারেননি সাকিব। টানা দুই গোল্ডেন ডাক মেরে আসর শুরু করা সাকিব বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন শেষ দুই ম্যাচেই। ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্ম করে হন টানা দুই ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
প্লে-অফে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সাকিবের দল গায়ানা টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে দ্রুতই এই সিদ্ধান্ত ভুল বলে প্রমাণিত হয়। বিশালদেহী রাকিম কর্নওয়ালের তাণ্ডবে ২০ ওভারে ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে জমা করে বার্বাডোজ। জবাব দিতে নেমে সাকিবের দল হেরেছে ৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে। বল হারে ৩ ওভারে ২২ রান দিয়ে কর্নওয়ালের উইকেটটি নিলেও ব্যাট হাসেনি সাকিবের। আউট হয়েছেন ২ বলে মাত্র ১ রান করে।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে কর্নওয়াল খেলেছেন ৫৪ বলে ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংস। সে ইনিংসে ছিল ২টি চার আর ১১টি ছক্কার মার। সিপিএলের ইতিহাসেই এটা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। কর্নওয়াল ঝড় অবশ্য থামিয়েছেন সাকিবই।
কর্নওয়াল ছাড়াও বার্বাডোজের হয়ে ব্যাট হেসেছে আজম খানের। ৩৫ বলে ৫২ রান করেন তিনি।
১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সাকিবের গায়ানা শুরুতেই হারিয়েছে রহমানুল্লাহ গুরবাজের উইকেট। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। চারে নামা সাকিব ১ রান করেই ফিরেছেন র্যামন সিমন্ডসের বলে এলবিডব্লু হয়ে। গায়ানার পক্ষে যা একটু বলার মতো রান করেছেন অধিনায়ক শিমরন হেটমেয়ার। ২৯ বলে ৩৭ রান করেন তিনি।
বার্বাডোজের বিপক্ষে ১৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন সিমন্ডস। ২১ রানে ২ উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। তবে সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন ম্যাচের নায়ক কর্নওয়াল। মাত্র ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বার্বাডোজের জাম্বো।
হেরে গেলেও ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা একদম শেষ হয়ে যায়নি সাকিবদের। বুধবার ভোরে এলিমিনেটরে জয় পাওয়া জ্যামাইকা তালাওয়াজের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জয় পেলেই ফাইনালে উঠে যাবে সাকিবের দল। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।