ইরানের সিস্তন ও বালুচেস্তন প্রদেশে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বন্দুকযুদ্ধে ইসলামি বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এক কর্নেলসহ ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এদিন দেশটির একটি পুলিশ স্টেশনেও বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়েছে। খবর এএফপি।
ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় দুই সপ্তাহ পর এখনো উত্তপ্ত দেশ। এর মধ্যেই শুক্রবারের বন্দুক হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। চলমান বিক্ষোভের সঙ্গে এই বন্দুক হামলার কোনো সম্পর্ক আছে কি-না তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আঞ্চলিক গভর্নর হোসেন খিয়াবানি বলেন, বন্দুক হামলার ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন।
ওই টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, এই বন্দুকযুদ্ধে ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের প্রাদেশিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্নেল আলী মুসাভি নিহত হয়েছেন।
এর আগে ওই দিন সকালে ইরানের প্রাদেশিক রাজধানী জাহেদানে একটি পুলিশ স্টেশনে হামলা করে বন্দুকধারীরা। এসময় পুলিশ ও বন্দুকধারীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও পথচারী আহত হয়েছে।
সিস্তন ও বালুচেস্তন আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী ইরানের একটি দারিদ্র্যপীড়িত প্রদেশ। মাদক কারবারিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাতের অন্যতম অঞ্চল এটি। পাশাপাশি সংখ্যালঘু বালুচ এবং সুন্নি মুসলিমদের চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে।
এদিকে ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে জনগণের আবেগকে সম্মান জানালেও, এ ঘটনার প্রতিবাদে কোনো ধরনের সহিংসতা-নৈরাজ্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রায় দুই সপ্তাহ পর প্রথমবারের মতো দেশটির গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। ওই সাক্ষাতকারে মাহসার মৃত্যুতে জনগণের আবেগকে সম্মান জানিয়ে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাসও দেন তিনি।
ইরানে দুই সপ্তাহের আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস-আইএইচআর। আটক করা হয়েছে শত শত বিক্ষোভকারীকে।