ইউরোপীয় দলগুলোর আধিপত্যের মাঝেও বেশ কয়েকবার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে এশিয়া। সবশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে টপ ফেবারিট জার্মানিকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে কোরিয়ানদের সেরা অর্জন ২০০২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলা ও চতুর্থ স্থানে থেকে আসর শেষ করা। এখন পর্যন্ত এটি এশিয়ার কোনো দলের সেরা সাফল্য।
এশিয়ার পরাশক্তি হিসেবে এখন পর্যন্ত নাম্বার ওয়ান দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০২ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে গ্রুপ পর্বে দারুণ ফুটবল খেলে চমক দেখিয়েছিল দলটি। পোলান্ডকে ২-০ গোলে হারানোর পর, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র। শেষ ম্যাচে কোরিয়ানদের গতিময় ফুটবলের কাছে হারের আক্ষেপে পুড়তে হয় পর্তুগালকেও। যেখানে শেষ ষোলোতে পা রাখে দক্ষিণ কোরিয়া।
এরপর গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের দ্বিতীয় পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইতালির মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাও। ইতালিয়ানদের হারিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করে তারা। যেখানে শেষ আটের লড়াইয়ে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে। এরপর জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় তাদের। যদিও স্থান নির্ধারণীতে চতুর্থ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কোরিয়ানদের।
এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিত্ব করা অস্ট্রেলিয়াকে ধরে ফিফা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অন্তত একবার করে বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশ নিয়েছে এশিয়ার ১২টি দল। যেখানে সবচেয়ে বেশি, ১০ বার মূল পর্বে খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিও তাদের। ৩৪ ম্যাচে ৬ জয়ের বিপরীতে হার ১৯টি।
দক্ষিণ কোরিয়ার পর এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ বার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে জাপানের। তবে জাপানিজদের সেরা সাফল্য ২০০২ সালে। সেবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ছিল জাপান। ঘরের মাঠে আসরের সেরা ষোলোতে পৌঁছায় তারা।
এদিকে ইরানও পাঁচবার অংশ নেয় বিশ্বকাপে। অবশ্য এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলের আরেক দল অস্ট্রেলিয়াও সমান ৫ বার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলেছে। তবে বিশ্বকাপে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সেরা ফল উত্তর কোরিয়ার। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের আসরে, ইতালিকে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে উত্তর কোরিয়া। আর ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সেরা ষোলোতে খেলেছিল সৌদি আরব।