ভাসানচরে অবস্থানরত মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য ২০ লাখ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ কোটি টাকার জরুরি সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান সরকার।
এই অনুদানের মধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) দশ লাখ ডলার এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) আরও দশ লাখ ডলার প্রদান করবে।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশের জাপান দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
জাপান দূতাবাসের বরাতে বাসস জানায়, এই অর্থ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করা হবে, যাতে খাদ্য ও স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে ভাসানচরে জরুরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে।
ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইটিও নাওকি বলেন, তার সরকার ২০২১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মধ্যে স্বাক্ষরিত এমওইউ-এর অধীনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চলমান কার্যক্রমে সহায়তা দিচ্ছে যা ভাসানচরের জন্য সহায়তা প্রদানের একটি মৌলিক কাঠামো।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির কাজের প্রশংসা করেন।
জাপানের অবস্থান উল্লেখ করে নাওকি বলেন, জাতিসংঘ ভাসানচরে বিদ্যমান ও ক্রমবর্ধমান মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষার প্রয়োজনে সাড়া দেবে এবং দৃঢ়ভাবে আশা করে যে, এই সহায়তা আরও ভালো পরিষেবা প্রদানে এবং ভাসানচরে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতিতে প্রভূত অবদান রাখবে।
জাপানী মিশন বলেছে, জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে কাজ করবে।