টোকেন বাণিজ্যসহ অনিয়মের নানা অভিযোগ রয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিবহন চালক ও মালিকদের অভিযোগ হল গাড়ীর কাগজপত্র ঠিক থাকলেও, টোকেন চুক্তি ছাড়া পড়তে হচ্ছে মামলাসহ নানা বিড়ম্বনায়। তবে এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি পুলিশের।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল-আশুগঞ্জ এলাকায় চলছে বেপরোয়া হাইওয়ে পুলিশের সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটক বাণিজ্য। এর সঙ্গে রয়েছে পিকআপ ভ্যান ও ট্রাক্টর। জেলা ট্রাফিক পুলিশের দৃষ্টিও তাদের ওপর। অন্যদিকে লেনদেনের পর দেয়া হয় টোকেন। আর এ টোকেন নিয়ে দাবড়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি।
ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন বাস-ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ চলাচল করে হাজারো গণপরিবহণ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে চলছে চাঁদাবাজির নৈরাজ্য।
একই জায়গায় ৩ বছর বা তার অধিক সময় চাকরির কারণেই মাসোয়ারা আদায়ে বেপরোয়া পুলিশ এমনটি বলছেন মালিক শ্রমিকরা। চালক মালিকরা জিম্মি হয়ে পড়েছে চিহ্নিত ৩ শ্রেণির দালালের কাছে। শুধু সরাইলেরই শতাধিক অটোরিকশার রয়েছে মহাসড়কে চলাচলের গোপন নির্দেশনা।
দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের সড়ক নিয়ন্ত্রণকারীদের বিরুদ্ধে। চাঁদা ছাড়া মহাসড়কে গাড়ী চালানো অসম্ভব বলে অভিযোগ পরিবহন চালকদের। তাদের দাবি গাড়ীর কাগজপত্র ঠিক থাকলেও, নানা হয়রানী শিকার হচ্ছেন তারা। তুচ্ছ কারণ দেখিয়ে দেয়া হয় মামলা।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির যোগসাজশে টোকেন বাণিজ্য চলছে, বিভিন্ন মহলে এমন অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার না মেলায় ক্ষুদ্ধ পরিবহন মালিকরা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাইওয়ে পুলিশের দাবি, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও চুরি-ছিনতাই রোধে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযোগ তদন্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে কতৃপক্ষ, এমনটাই আশা পরিবহন মালিক ও চালকদের।